আগামী ২ October-এর মধ্যে Farm Laws প্রত্যাহার করতে হবে, সময় বেঁধে দিল কৃষকরা
দিল্লির একাধিক সীমান্ত-সহ পঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানার একাধিক জায়গায় রাস্তা অবরোধ করেন কৃষকরা। পঞ্জাবের ১৫ জেলার ৩৩ জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে দেওয়া হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চাক্কা জ্যাম কর্মসূচির মধ্যেই বড় ঘোষণা করল দিল্লির আন্দোলনকারী কৃষকরা। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের(BKU) তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, কেন্দ্রকে আাগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হল। তার মধ্যে নয়া ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে BKU নেতা রাকেশ টিকায়েত(Rakesh Tikait) জানান, 'নয়া ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে কেন্দ্রকে ২ অক্টোবর প্রয্নত সময় দেওয়া হল। আইন(Farm Laws) প্রত্যাহার না করা হলে আমাদের পরবর্তি পরিকল্পনা করতে হবে। কোনও চাপের কাছে মাথা নত করে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসব না।'
আরও পড়ুন-মার্চ থেকে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ, পঞ্চাশোর্ধ্বরা পাবেন Vaccine: Harsh Vardhan
গণতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর মিছিলের(Tractor Rally) মতো কোনও অশান্তি আজ ঘটেনি। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন আগেই ঘোষণা করেছিল, দিল্লি এনসিআর, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি হবে না। সেই মতোই ওই তিন জায়গায় কোনও অবরোধ করেনি কৃষকরা। দিল্লি-সহ দেশের অধিকাংশ রাজ্যতেই চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি পালন করা হয়। দিল্লির বাইরে হরিয়ানা, রাজস্থানের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করেন কৃষকরা। রাস্তায় রান্না করে খাওয়াদাওয়ার আসর বসিয়ে আন্দোলনকারীদের এককাট্টা করে রাখেন।
এদিন গাজিপুর সীমান্তে কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কৃষকদের দাবি পূরণ না হয় ততক্ষণ আমরা ঘরে ফিরব না। দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তে কাঁটতার ও রাস্তায় পেরেক পুঁতে রাখা প্রসঙ্গে টিকায়েত বলেন, ওরা যদি রাস্তায় পেরেক পুঁতে রাখে তাহলে আমরা রাস্তায় ফুল ফোটাব। কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই চলতে হবে আমাদের।
আরও পড়ুন-''পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ এবার মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবেন, আপনাদের হাতে বড় দায়িত্ব''
উল্লেখ্য, দিল্লির একাধিক সীমান্ত-সহ পঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানার একাধিক জায়গায় রাস্তা অবরোধ করেন কৃষকরা। পঞ্জাবের ১৫ জেলার ৩৩ জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে দেওয়া হয়। অধিকাংশ জায়গাতেই রাস্তায় বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। এদিকে, আন্দোলনকারীদের আটকাতে এলাহি নিরাপত্তা ব্যবস্থ করে দিল্লি পুলিস। কেন্দ্রীয় বাহিনী, দিল্লি পুলিস মিলিয়ে মোতায়েন করা হয় ৫০,০০০ জওয়ান, তৈরি রাখা হয় জল কামান, ক্রেন। রাস্তায় রাস্তার ব্যরিকেড তো রেয়েইছে।
কেন্দ্র ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, কৃষকরা চাইলে আগামী দেড় বছর নয়া কৃষি আইন লাগু করবে না সরকার। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতের প্রশ্ন, আইন প্রত্যাহার করায় সমস্যা কিসের?আইন যখন আনা হয়েছিল তখন কৃষকদের সম্মতি নেওয়া হয়নি। আমরা শুধু এর প্রতিবাদ করছি। অন্য কিছু তো করছি না। সরকারের বিরুদ্ধে তো ভোট দিতে বলছি না। সরকারের এত রাগ কিসের?