কৃষি নীতি বদলাতে লাল পতাকা হাতে দিল্লি দাপালেন কৃষকরা
২০১৭ সালে বিভিন্ন বাম পন্থী কৃষক সংগঠনকে এক ছাতার তলায় নিয়ে জন্ম হয় অল ইন্ডিয়া কিষাণ সংঘর্ষ কোর্ডিনেশন কমিটির।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এতদিন শুধুই প্রতিশ্রুতি মিলেছে। দাবি দাওয়া পূরণ হয়নি। তাই দাবি আদায়ে ফের রাজধানীর রাজপথে কৃষকরা। দুদিন ব্যাপী আন্দোলনে দিল্লির রাজপথে কৃশকদের ২০০টি সংগঠনের লক্ষাধিক কৃষক।
২০১৭ সালে বিভিন্ন বাম পন্থী কৃষক সংগঠনকে এক ছাতার তলায় নিয়ে জন্ম হয় অল ইন্ডিয়া কিষাণ সংঘর্ষ কোর্ডিনেশন কমিটির।লক্ষ্য কৃষি ঋণ মকুব, ফসলের নায্য দাম আদায়। এবার তাঁদের দাবি, সংসদের বিশেষ অধিবেশন। কৃষক নেতা হান্নান মোল্লা বলেন, ''গত ৭০ বছরে কৃষকদের জন্য আইনে কিছুই ছিল না। কোনও ফায়দা নেই কৃষকদের। কৃষকরা নিজেরা দাবি সম্বলিত আইন তৈরি করেছেন। দুটি ব্যক্তিগত বিল সংসদে পেশও হয়েছে। সেগুলি পাশ করুক সরকার''।
লক্ষাধিক কৃষক রাস্তায় নামায় সকালের দিকে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় দিল্লি। বৃহস্পতিবার সকালে পায়ে হেঁটে প্রথম তাঁরা আনন্দ বিহার রেল স্টেশনে পৌছন। সেখানে তাঁদের স্বাগত জানান বাম সমর্থিত ছাত্র সংগঠন আইসা। সেখান থেকে তাঁরা রওনা দেন রামলীলা ময়দানের দিক। কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় বিজবাসন-দ্বারকা লাগোয়া এলাকার যান চলাচল। তবে,লক্ষ্যে অচল কৃষকরা। আন্দোলন এখন চলবে। শুক্রবার রামলীলা ময়দান থেকে তাঁরা সরাসরি রওনা দেবেন সংসদ ভবনের দিকে। গত কয়েকমাসে এনিয়ে তৃতীয়বার কৃষক আন্দোলনের সাক্ষী থাকছে রাজধানী।
কলকাতার বুকেও এদিন লাল পতাকা হাতে এদিন দেখা গিয়েছে কৃষকদের। সিঙ্গুর থেকে বুধবার অভিযান শুরু করেছিলেন কৃষকরা। কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা এই পদযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার কৃষক। সিঙ্গুর-সহ সারা রাজ্যে শিল্প, কৃষিক্ষেত্রে কৃষকদের ন্যায্য পাওনা সহ একাধিক দাবিতে এই পদযাত্রা করেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন- রথে সুভদ্রা দিদিকেও বসিয়ে নিন মোদী-শাহ, কৃষক জাঠার মঞ্চে খোঁচা সূর্যর