ওয়েব ডেস্ক : চায়ের দোকানে বসেই তলিয়ে গেলেন বাবা-ছেলে। প্রায় ৬ ফুট চওড়া ও দেড় হাজার ফুট গভীর হয়ে যায় গর্ত। ঝাড়খন্ডের ঝরিয়া কয়লাখনি এলাকার ইন্দিরাচকের ঘটনা। ঘটনার জেরে পথ অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুর চালানো হয় উদ্ধারকারী দলের বেশ কয়েকটি ডাম্পার, গাড়ি ও অ্যাম্বুল্যান্সে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জেনা গেছে, বাড়ির সামনের চায়ের দোকানে বাবা বাবলু খানের সঙ্গে বসে ছিল বছর আটেকের রহিম শানা। হঠাত করেই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। প্রায় ছ ফুট চওড়া হয়ে গর্ত যায় এলাকা। গভীর হয় প্রায় পনেরোশো ফুট। সেই গর্তেই পড়ে যায় রহিম। ছেলেকে দেখতে গিয়ে গর্তে পড়ে যান বাবাও।  এলাকায় ধোঁয়া ও বিষাক্ত গ্যাস বের হতে থাকে।


আরও পড়ুন- দিল্লিতে ফের মমতা-মোদী বৈঠক


এলাকায় তখন অসহায় মানুষের ভিড়। বেশ কিছুক্ষণ এমন অবস্থা চলার পর এলাকায় আসে উদ্ধারকারী দল। উদ্ধারকারী দল দেরিতে এসেছে এই অভিযোগে  ঝরিয়া-ভিন্দ্রি রাস্তা অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা। উদ্ধারকারী দলের বেশ কয়েকটি ডাম্পার, গাড়ি ও অ্যাম্বুল্যান্সে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে জেসিবি মেশিন এনে খোঁড়াখুঁড়ি করে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়। ঝরিয়া এলাকায় কয়লা খনি রয়েছে। ধসপ্রবণ। অনেকদিন ধরেই মাটির নীচে কয়লায় আগুন লেগে রয়েছে। বেশিরভাগ মানুষের পুনর্বাসন হয়েছে। হঠাত করে এই ঘটনায় ইন্দিরা চকে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বছর দুয়েক আগে আসানসোলের ডিশেরগড়ে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। বাড়ির উঠোনে খেলছিল বছর এগারোর  একটি মেয়ে। হঠাত করেই ধসে সে তলিয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।