শববাহী গাড়ি না পেয়ে, স্ট্রেচারেই মেয়ের দেহ নিয়ে চলল পরিবার
দানা মাজিকে মনে পড়ে? শত অনুরোধেও গাড়ি না পেয়ে স্ত্রীয়ের লাশ তুলে নিয়েছিলেন ওড়িশার হতদরিদ্র আদিবাসী প্রৌঢ়। হাঁটতে হাঁটতে পৌছেছিলেন দীর্ঘ পথ। সেই ছবি দেখার পর অবাক হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। এমনও অমানবিক হতে পারে প্রশাসন! এরপরও কিন্তু সেই ছবি একটুকুও বদলায়নি। এবারও ঘটনাস্থল ওড়িশা। কন্দমলে শববাহী গাড়ি না পেয়ে স্ট্রেচারে দেহ নিয়ে যেতে বাধ্য হল একটি পরিবার।
ওয়েব ডেস্ক : দানা মাজিকে মনে পড়ে? শত অনুরোধেও গাড়ি না পেয়ে স্ত্রীয়ের লাশ তুলে নিয়েছিলেন ওড়িশার হতদরিদ্র আদিবাসী প্রৌঢ়। হাঁটতে হাঁটতে পৌছেছিলেন দীর্ঘ পথ। সেই ছবি দেখার পর অবাক হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। এমনও অমানবিক হতে পারে প্রশাসন! এরপরও কিন্তু সেই ছবি একটুকুও বদলায়নি। এবারও ঘটনাস্থল ওড়িশা। কন্দমলে শববাহী গাড়ি না পেয়ে স্ট্রেচারে দেহ নিয়ে যেতে বাধ্য হল একটি পরিবার।
আরও পড়ুন- বিহারে উন্নয়নের জন্য চাই পরিবর্তন : যোগী আদিত্যনাথ
বিয়ের পর পণের জন্য লাগাতার চাপ। অভিযোগ এর জেরেই রহস্য মৃত্যু তরুণীর। মেয়েকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল গোটা পরিবার। পরিবারের দাবি, দেহ ময়নাতদন্তের পর শববাহী গাড়ি চেয়ে ছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, গাড়ি দিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল। এরপর স্ট্রেচারেই দেহ নিয়ে হাঁটতে শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। কিছুক্ষণ পর টনক নড়ে প্রশাসনের। ততক্ষণ চোখের জল আর মনের বলকে ভরসা করে দেহ নিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে দিয়েছেন মৃতের আত্মীয়রা। গাড়ির ব্যবস্থা করে দেয় পুলিস। কিন্তু এ ঘটনা ঘটল কীভাবে? জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অবশ্য দোষটা চাপিয়ে দিয়েছেন এই পরিবারের ওপরই। তাঁর বক্তব্য, দেহ জোর করে নিয়ে পরিবারই চলে গিয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তা থাকা সত্বেও দেহ কীভাবে জোর করে নিয়ে গেল? সে প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য CMOH-এর জবাব, বিষয়টির তদন্ত চলছে।