নিজস্ব প্রতিবেদন: তামিলনাড়ুর কুন্নুরে কপ্টার দুর্ঘটনায় প্রয়াত ভারতের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ ((CDS)) বিপিন রাওয়াত (Gen Bipin Rawat)। বায়ুসেনা (Indian Air Force) সূত্রে খবর, প্রয়াত তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত-সহ ১১ জন সেনা আধিকারিক। কপ্টারে ছিলেন ১৪ জন। যাঁদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও চিকিৎসাধীন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কপ্টারে ছিলেন-  CDS বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat), তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত, ব্রিগেডিয়র এলএস লিদ্দের, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হরজিন্দর সিং, এনকে গুরসেওয়াক সিং, এনকে জিতেন্দ্র কুমার, L/NK বিবেক কুমার, L/NK বি সাই তেজা, সৎপাল। সুলুর থেকে ওয়েলিংটনে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। বিপিন রাওয়াতের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শোকজ্ঞাপন করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।



তবে এই প্রথম নয় আগেও চপার দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলেন বিপিন রাওয়াত (Gen Bipin Rawat)। ২০১৫-র ফেব্রুয়ারিতে নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরেও ভেঙে পড়ে তাঁর কপ্টার 'চিতা'। কয়েক ফুট উপর থেকে ভেঙে পড়ে তাঁর কপ্টার। 




১৯৫৮-তে উত্তরাখণ্ডের এক সেনা পরিবারে বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) জন্ম। ১৯৭৮-এ ভারতীয় সেনার ১১ গোর্খা রাইফেলসের পঞ্চম ব্যাটেলিয়নে তিনি প্রথম যোগদান করেন। ওই ইউনিটেই মোতায়েন ছিলেন তাঁর বাবা। সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বিশেষ দক্ষতা রয়েছে বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat)। মেজর হিসেবে জম্মু-কাশ্মীরের উরি সেক্টরে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। কর্নেল হিসেবে ভারতীয় সেনার ১১ গোর্খা রাইফেলসের পঞ্চম ব্যাটেলিয়নের নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।


১৯৭৮-এ ভারতীয় সেনার সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট নির্বাচিত হন বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat)। ১৯৮০-তে লেফটেন্য়ান্ট, ১৯৮৪: ক্যাপ্টেন, ১৯৮৯: মেজর, ১৯৯৮: লেফটেন্যান্ট কর্নেল, ২০০৩: কর্নেল, ২০০৯: ব্রিগেডিয়র, ২০১১: মেজর জেনারেল, ২০১৪: লেফটেন্য়ান্ট জেনারেল, ২০১৭-তে ভারতীয় সেনার প্রধান নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৯-এ  চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) হন বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat)। 


৪০ বছরের কর্মজীবনে একাধিক সম্মান পেয়েছেন বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat)। সেনার বহু পদক অর্জন করেছেন। পরম বিশিষ্ট সেবা মেডেল,উত্তম যুদ্ধ সেবা মেডেল, অতি বিশিষ্ট সেবা মেডেল, যুদ্ধ সেবা মেডেল, সেনা মেডেল, বিশিষ্ট সেবা মেডেল, বিদেশ সেবা মেডেল।