নিজস্ব প্রতিবেদন: ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’। নয়া দিল্লির লোধি রোডে সিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এই স্লোগানই শোনা গেল বারবার।  সিবিআই বিতর্কে কার্যত জাঁতাকলে বিজেপি সরকার। এক দিকে দেশের ভরসাযোগ্য তদন্তকারী সংস্থার অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসা। অন্য দিকে আজ আদালত কেন্দ্রের উপর পুরোপুরি ভরসা না রেখে তদন্তের রাশ তুলে দিল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির হাতে। এক ঝটকায় এতটা বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে যাওয়া অপ্রত্যাশিত ছিল বিরোধীদের। আর কংগ্রেস তার সদ্ব্যবহার করতে এতটুকুও সময় নষ্ট করল না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- সুপ্রিম রায় ইতিবাচক, কারোর প্রতি ব্যক্তিগতভাবে বিদ্বেষ নেই সরকারের: অরুণ জেটলি


সে সময় দিল্লির দয়াল সিং কলেজে ছিলেন রাহুল গান্ধী। সেখান থেকে সোজা গাড়ি নিয়ে সিবিআইয়ের সদর দফতরের সামনে পৌঁছে যান তিনি। তুমুল বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস সমর্থকরাও। ব্যারিকেড ভেঙে পুলিসের সঙ্গে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। শুধুমাত্র দিল্লিতে নয়, লখনউ, মুম্বই, তেলেঙ্গানা, চণ্ডিগড়ের সিবিআই দফতরের সামনেও দেখা গেল একই দৃশ্য । উল্লেখযোগ্যভাবে এ দিন কংগ্রেসের পাশে ছিলেন সিপিআই সাংসদ ডি রাজা, তৃণমূল সাংসদ নাদিমুল হক। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই প্রথম রাফাল ইস্যুতে কংগ্রেসের সঙ্গে পথে নামল অন্যান্য বিরোধী দলও। এর ফলে মহাজোট নিয়ে রাজনৈতিক শিবিরে ফের নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে।


রাহুল গান্ধী এ দিন অভিযোগ করেন, দেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করছেন মোদী। সিবিআই কর্মীদের স্পষ্ট করে দিতে চাই, আপনাদের আমি আক্রমণ করছি না। আক্রমণ করছেন নরেন্দ্র মোদী। যেমন দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আক্রমণ করে ধ্বংস করছেন। উল্লেখ্য, রাহুল এর আগেই দাবি করেছিলেন, রাফাল ইস্যু নিয়ে তদন্ত শুরু করাতেই সিবিআই অধিকর্তা অলোক বর্মাকে সরানো হয়েছে।


আরও পড়ুন- ব্রিটিশদের আরও ১০০ বছর রাজত্ব করা উচিত ছিল, বসপা নেতার এমন দাবি কেন?


এবার সিবিআই বিতর্কের সঙ্গে রাফাল ইস্যুও জড়িয়ে যাওয়ায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। এ দিন আরও এক বার অরুণ জেটলিকে বলতে শোনা গেল, সিবিআইয়ের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন তদন্তে নেমেছে। কারোর প্রতি ব্যক্তিগত  বিদ্বেষ নেই সরকারের।


রাফাল বিতর্কের ক্ষত থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি বেজিপি। এর পর নতুন করে সিবিআই বিতর্ক রীতিমতো কোণঠাসা করে দিয়েছে মোদী সরকারকে। রাজনৈতিক শিবির মনে করছে, নির্বাচনের আগে মহাজোট তৈরি করার বড় সুযোগ এসে গিয়েছে কংগ্রেসের কাছে। আজ সিপিএম, তৃণমূলকে পাশে পাওয়া জল্পনা আরও প্রবল হয়েছে। বিরোধীদের পাশে নিয়ে রাহুল কতটা হাল ধরে রাখতে পারেন সেটাই এখন দেখার।