নয়া দিল্লি: বেঙ্গালুরু থেকে আজ দিল্লি ফিরছেন রাজধানীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। টানা ১০ দিন বেঙ্গালুরুর একটি ন্যচারোপাথি সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। দিল্লি ফিরে তাঁর সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। একদিকে দলের আভ্যন্তরীণ কোন্দলের সঙ্গেই তাঁকে সামলাতে হবে 'ঘোড়া কেনাবেচা'-র অভিযোগ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ সন্ধেবেলাতেই দিল্লি পৌছাছেন কেজরিওয়াল। মঙ্গলবার থেকেই তিনি সম্ভবত অফিসে যোগ দেবেন।


তাঁর অনুপস্থিতে দলের অভ্যন্তরে যখন কেজরিপন্থী ও কেজরি বিরোধীদের (মূলত প্রশান্ত ভূষণ ও যোগেন্দ্র যাদব) বিরোধ তুঙ্গে বেঙ্গালুরু থেকে কেজরিওয়াল তখন বলেছিলেন '' আমি নেপলিয়ান নই যে ক্ষমতা দখলের জন্য রাজনীতিতে এসেছি।'' সোমবার জিন্দল নেচারকেয়ার ইন্সটিটিউট থেকে বেলা ২টো নাগাদ ছুটি মিলবে কেজরির। ভবিষ্যতে সুস্থ থাকার জন্য তাঁর জন্য নির্দিষ্ট ব্যয়াম, ডায়েট চার্ট ঠিক করে দিয়েছেন ডাক্তাররা।


তাঁর অনুপস্থিতে দলে যখন ভাঙন চূড়ান্ত, একদা আন্নার ভাবশিষ্যের বিরুদ্ধে দলের এক শ্রেণীর নেতা কর্মীরা একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন। তখনই বিরোধী কংগ্রেস ও বিজেপি এক যোগে বিধানসভা নির্বাচনের সময় তাঁর বিরুদ্ধে 'ঘোড়া কেনা বেচার' অভিযোগ করেছে।


জনস্বমক্ষে আপ-এর অন্যতম দুই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রশান্ত ভূষণ ও যোগেন্দ্র যাদব কেজরিওয়ালকে স্বৈরাচারী বলেছেন।


বিতর্কে সরাসরি নিজেকে না জড়িয়ে আপ আহ্বায়ক বারবার দিল্লিতে সুশাসনের আশ্বাস দিয়ে গেছেন।


''আমাদের ফলের মধ্যেই যখন অনেকে দাবি করেছেন আমরা যখন দিল্লিতে জিততে পারি, আমরা অনান্য জায়গাতেও জয় পেতেই পারি। আমি এই মতের লাগাতার বিরোধীতা করে গেছি। আমি নেপলিয়ান নই, যে জেতাই আমার একমাত্র লক্ষ্য হবে। আমি এই সিস্টেমটার বদল আনতে চাই।'' বলেছেন আপ সুপ্রিমো।


ক্রনিক কফ ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ে নেচারোপ্যাথি সেন্টারে ভর্তি হয়ে ছিলেন তিনি।


দলের দুর্দিনে নেতার দ্রুত আরোগ্য কামনার সঙ্গে সঙ্গেই দিল্লিতে তাঁর পথ চেয়ে বসে আছেন দলীয় অনুগামীরা। তাঁদের আশা দলের টালমাটাল সময়ে এসে ঠিক হাল ধরতে পারবেন কেজরি।


যদিও, সূত্রের দাবি দলীয় বিতর্ক থেকে আপাতত নিজেকে সরিয়েই রাখতে চান কেজরি।


এই মুহূর্তে দুর্নীতি বিরোধী হেল্পলাইন ও দিল্লির বিদ্যুৎ পরিষেবা সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি পালন কেজরিওয়ালের মূল লক্ষ্য।