নিজস্ব প্রতিবেদন- দুমতু ইবিয়া, প্রসাদ রিংলিং, নাগারু ডেরি, তোচ সিংকম ও তানু বাকর নামে পাঁচ ভারতীয় কিশোরকে শেষমেশ মুক্তি দিল চিনা সেনা। অরুণাচল প্রদেশের আপার সুবানসিরি জেলার নাচো এলাকা থেকে ওই পাঁচ কিশোরকে অপহরণ করেছিলন পিপলস লিবারেশন আর্মি। যদিও চিন সেন দাবি করেছিল, ওই পাঁচ কিশোর তাদের সীমানায় ঢুকে পড়ায় আটক করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু দফতরের প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানিয়েছিলেন, ভারতীয় সেনার আধিকারিকরা লাল ফৌজের সঙ্গে হটলাইনে যোগাযোগ করেছিলেন। গতকালই তিনি জানিয়েছিলেন, শনিবার যে কোনও সময় ওই পাঁচ কিশোরকে ভারতীয় সেনার হাতে ফিরিয়ে দিতে পারে চিন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্দু এদিন টুইট করে জানান, চিনা সেনা শেষ পর্যন্ত ওই পাঁচ কিশোরকে ভারতীয় জওয়ানদের হাতে তুলে দিয়েছে। পাঁচ জন কিশোর অক্ষত রয়েছেন। পাঁচ জন কিশোর অপহৃত হওয়ার পর ভারত সরকার সেনা যেভাবে তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য তত্পর হয়েছিল তার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন তিনি। নাচো এলাকার সেরা ৭ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে চিনা সেনা তাদের অপহরণ করেছিল বলে জানা যায়। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরদিনই চিনা সেনা জানায়, ওই পাঁচ কিশোর তাদের হেফাজতে রয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে চিনা ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ায় তাদের আটক করা হয়েছিল। চিনা সেনার তরফে জানানো হয়েছিল, ওই কিশোরদের ফেরানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে।



আপার সুবানসিরি জেলার নাচো এলাকা থেকে একটি দলের সঙ্গে শিকার করতে গিয়েছিল ওই পাঁচজন কিশোর। এর পরই তারা ভুলবশত হয়তো চিনা সীমান্তে ঢুকে পড়ে। তার পরই ওই পাঁচ কিশোরকে আটক করে লাল ফৌজ। ওই দলের সঙ্গে থাকা একজন ফিরে এসে খবর দেন, কিশোরদের চিনা সেনা আটক করেছে। এর পরই হইচই পড়ে গিয়েছে। নিখোঁজ কিশোরদের পরিবারের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটি তুলে ধরা হয়েছিল।