নিজস্ব প্রতিবেদন: টানা বৃষ্টিতে বেহাল বিহার। পাটনা-সহ রাজ্যের অধিকাংশ জায়গাতেই বন্যা পরিস্থিতি প্রায় ভয়াবহ আকার ধারন করেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাটনায় জল ঢুকে গিয়েছে উপমুখ্যমন্ত্রী-সহ প্রাক্তন দুই মন্ত্রীর বাড়িতে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। বাধ্য হয়েই কেন্দ্রের সাহায্য চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বন্যায় আটকে থাকা লোকজনদের উদ্ধার কার জন্য বায়ুসেনার কাছে আবেদন করেছে বিহার সরকার। রাজ্যে কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা।


আরও পড়ুন-খালি হাফ প্যান্ট পরে মার্চ করলে ধর্ম হয় না, আরএসএস-বিজেপিকে নিশানা অভিষেকের


আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শনিবার থেকে পাটনায় ১৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্যে জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। পাটনায় বন্ধ স্কুল-কলেজ। কোশী, গন্ডক, বাগমতি নদীর জল কমার কোনও লক্ষণই আপাতত নেই।



রবিবার এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, গঙ্গার জল বেড়েই চলেছে। বৃষ্টি এখনও থামছে না। এটা প্রাকৃতিক বিষয়। বন্য দুর্গত এলাকায় পানীয় জল ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


বৃষ্টির কারণে রেল পরিষেবা ব্যাহত। পাটনা স্টেশনে আটকে রয়েছেন বহু যাত্রী। বন্যার কারণে ২৫টি ট্রেনকে হয় অন্য রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে নয়তো বাতিল করা হয়েছে। রবিবার মুম্বই ও দিল্লিতে থেকে পাটনাগামী ২টি বিমানকে লখনউ ও বারাণসীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন-বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি, স্বীকার করল তৃণমূল!


অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের বন্যা পরিস্থিতিও ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। দেশজুড়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১০৫ জনের। পাশাপাশি দুর্গাপুর, ঝাড়খণ্ড ও বিহারের জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গেও তার প্রভাব পড়তে পারে।