নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অজয় মাকেন। মাকেনের এমন হঠাত্ পদত্যাগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে। মঙ্গলবার এক বিশেষ সূত্র মারফত্ মাকেনের ইস্তফার কখা জানা গিয়েছে। তবে, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এখনও এই ইস্তফা গ্রহণ করেননি। জানা যাচ্ছে, শারীরিক অসুস্থাকেই পদত্যাগের কারণ হিসাবে দেখিয়েছেন মাকেন। তিনি বিদেশে চিকিত্সা করাতে যাবেন বলেও খবর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৫৪ বছর বয়সী অজয় মাকেন ২০১৫ সালে দিল্লি কংগ্রেসের শীর্ষ পদ অধিকার করেন। তাঁর আগে এই পদে ছিলেন অরবিন্দর সিং লাভলি। দুই বারের সাংসদ ও তিনবারের বিধায়ক মাকেন অতীতে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর পদও সামলেছেন। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহেই রাহুল গান্ধীকে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন অজয় মাকেন। আরও পড়ুন- গোয়া সামলাবেন কে? মনোহরের অসুস্থতায় বুক বাঁধছে কংগ্রেস


দিল্লি কংগ্রেসের শীর্ষ পদ থেকে মাকেনের পদত্যাগ এই প্রথম নয়। ২০১৭ সালেও তিনি তত্কালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর কাছে চিঠি লিখে পদত্যাগ করেছিলেন। সে বার দিল্লি পুর নির্বাচনে দলের খারাপ ফলের দায়ভার মাথায় নিয়ে পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, তত্কালীন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীর কথায় শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করেননি। উল্লেখ্য, কংগ্রেসের অন্দরে রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ হিসাবেই অজয় মাকেনের পরিচিতি। আর এই মুহূর্তে রাহুল গান্ধীই কংগ্রেস সভাপতির পদে। ফলে, শেষ পর্যন্ত রাগা তাঁর 'বিশ্বস্ত' মাকেনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করবেন কি না, সে বিষয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক মহল। আরও পড়ুন-সাংসদের 'পদসেবা' করে 'চরণামৃত' পান বিজেপিকর্মীর!


শুধুই কি অসুস্থতার কারণে এই পদত্যাগ?


রাজনৈতিক মহল মনে করছে, অজয় মাকেন নিশ্চই অসুস্থ এবং তিনি চিকিত্সা করাতে বিদেশেও যেতে পারেন। কিন্তু, তাঁর এই ইস্তফার মধ্যে একটি ভিন্ন রাজনৈতিক তাত্পর্য থাকতে পারে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে রুখতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে প্রস্তুত রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস। সে জন্য একাধিক আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট বাঁধবে কংগ্রেস। এ ক্ষেত্রে মূলত দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির (আপ) হাতও ধরতে পারে কংগ্রেস। কিন্তু, অজয় মাকেন পদে থাকলে সেই সমঝোতার রাস্তায় হাঁটা কঠিন হতে পারে দুই তরফেই। কারণ, দিল্লির কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে মাকেনের সঙ্গে আপের সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। আর তাই হয়ত লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগে পদ ছাড়লেন অজয় মাকেন। আরও পড়ুন- বিজয়, দেনা, ব্যাঙ্ক অব বরোদা মিলে তৈরি হচ্ছে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাঙ্ক