হামলা হলে রেয়াত নয়, শ্রীনগরে সেনার গুলিতে ঝাঁঝরা ৩ পাকিস্তানি জঙ্গি
ওয়েব ডেস্ক : শ্রীনগরে বিএসএফ ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় নিহত হল জইশ-ই-মহম্মদের ৩ জঙ্গি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই ঘটনায় ১ জওয়ানেরও মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৩ জওয়ান। তবে শ্রীনগরে বিএসএফ ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় জড়িতদের কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ আহির।
তিনি বলেন, যারা (জঙ্গিরা) বিএসএফ ক্যাম্পে ঢুকে যারা হামলা চালিয়েছে, তার ফল ভুগতে হবে। পাশপাশি তিনি আরও বলেন, বিএসএফ ক্যাম্পে হামলার ঘটনা রুখে দেওয়া সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কোনওভাবেই যাতে জঙ্গিরা ভবিষ্যতে আর হামলা চালাতে না পারে, তার জন্য সর্বদা সজাগ থাকতে হবে বলেও মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
মঙ্গলবার ভোরে শ্রীনগরের গোগো হুমহামায় বিএসএফ-এর ১৮২ ব্যাটেলিয়নের ক্যাম্পে হামলা চালায় জঙ্গিদের একটি দল। হামলার আঁচ পেতেই পাল্টা গুলি চালানো শুরু করেন জওয়ানরাও। সেনা, জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে প্রথমে এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হলেও, বাকিদের বাগে আনতে পারেননি জওয়ানরা। সময় যত গড়াতে থাকে, গোলাগুলির মাত্রাও বাড়তে শুরু করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই ঘটনায় ৩ জঙ্গিকে নিকেশ করা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। হামলার পর পরই ঘটনার দায় স্বীকার করে জইশ-ই-মহম্মদের ‘আফজল গুরু’ স্কোয়াড।
সূত্রের খবর, কাকভোরে যখন হামলা চালানো হয় হুমহামা এলাকায়, তখনই পর পর ২৫টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পাশাপাশি হামলার পর পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় শ্রীনগর বিমানবন্দর। পাশাপাশি বাতিল করে দেওয়া হয় পর পর বেশ কয়েকটি বিমানও।
হামলার পর পরই বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। আইবি এবং র-এর বেশ কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, সোমবার সীমান্তে পাকিস্তানি জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রুখে দিয়ে ৫ জনকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় সেনা বাহিনী। ওই ঘটনার পর কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার বিএসএফ ক্যাম্পে হামলা চালাল জইশ-ই-মহম্মদ।