নিজস্ব প্রতিবেদন : মঙ্গলবার ঝটিতি সফরে বাংলাদেশ যাচ্ছেন বিদেশসচিব হর্ষ ভি. শ্রীংলা। তিস্তা প্রকল্পে বাংলাদেশকে চিনের সাহায্যের আবহেই এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিস্তার জলবন্টন নিয়ে নয়া দিল্লি ও ঢাকার দড়ি টানাটানি নতুন কিছু নয়। আর তারই মাঝে সেই তিস্তা প্রকল্পেই সম্প্রতি ঢাকাকে বিপুল পরিমাণ সাহায্যের ঘোষণা করেছে বেজিং। এমন আবহেই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলি ঝালিয়ে নিতে ও সামগ্রিক পরিস্থিতির আঁচ পেতেই এই ঝটিতি সফর বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।


সিকিম থেকে উত্পন্ন হয়ে তিস্তা নদী পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি. কালিম্পং দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর বাংলাদেশে ব্রহ্মপূত্রে (যমুনা) মিলিত হয়। ব্রহ্মপূত্র (যমুনা), গঙ্গা ও মেঘনার পর তিস্তা বাংলাদেশের চতূর্থ দীর্ঘতম নদী। 


এদিকে ১৯৯৮ সালে তিস্তা নদীর ভারতীয় অংশে গজলডোবা বাঁধ তৈরি হয়। গজলডোবা বাঁধের (ব্যারাজ) মাধ্যমে তিস্তা নদীর নিয়ন্ত্রণ ভারতের হাতে। এই তিস্তার জল চুক্তি নিয়ে যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত। 


ঢাকা ডিসেম্বর থেকে মার্চে তিস্তার অন্তত ৫০ শতাংশ জল প্রবাহ দাবি করেছে। গত ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরের সময়ে শেখ হাসিনাকে এ বিষয়ে আলোচনার আশ্বাসও দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 


এর আগে ২০১১ সালে তিস্তা জলবন্টন চুক্তির শর্তের বিরোধিতায় সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে সে সময়ে চুক্তি সম্পন্ন হয়নি। সূত্রের খবর, তিস্তা নিয়ে আলাদাভাবে এবার চিনের সঙ্গে এগোতে চাইছে বাংলাদেশ। 


করোনা পরিস্থিতির পর এই প্রথম বাংলাদেশে কোনও বিদেশসফর। ভারতের বিদেশসচিবও করোনা পরিস্থিতির পর প্রথম কোনও বিদেশসফরে যাচ্ছেন। এদিনের বৈঠকে হাজির থাকার কথা বাংলাদেশের ভারতের রাষ্ট্রদূত রীভা গঙ্গোপাধ্যায় দাসেরও।


আরও পড়ুন : PM-CARES থেকে জাতীয় বিপর্যয় ফান্ডে টাকা ট্রান্সফার নয়: সুপ্রিম কোর্ট