নিজস্ব প্রতিবেদন: গোয়া কংগ্রেসের (Congress) বর্ষীয়ান নেতা  Luizinho Faleiro সোমবার পদত্যাগ করলেন কংগ্রেস (Congress) থেকে। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে ৪০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে Luizinho যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC)। সোমবার সকালে Luizinho বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় "streetfighter" এবং তিনিই BJP-কে কড়া চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



Luizinho বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদীকে কঠিন লড়াই দিয়েছেন। মমতা ফর্মুলা বাংলায় জিতেছে"। Luizinho দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন যে তিনি "বৃহত্তর কংগ্রেস (Congress) পরিবারের কংগ্রেসম্যান" হিসাবে থাকবেন। এর মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে BJP-র বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এই মুহূর্তে সবথেকে ভালো জায়গায় রয়েছে তৃণমূল (TMC)।


 



গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী Luizinho আরও বলেন, "আমি কিছু লোকের সঙ্গে দেখা করেছি। তারা বলেছিল যে আমি ৪০ বছরের একজন কংগ্রেসম্যান এবং আমি কংগ্রেস পরিবারের একজন হিসেবে থাকব। চারটি কংগ্রেসের মধ্যে, মমতাই একমাত্র মোদির (Narendra Modi) বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই করেছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বাংলায় ২০০টি সভা করেছিলেন এবং অমিত শাহ (Amit Shah) ২৫০টি সভা করেছেন কিন্তু তারপরেও মমতা (Mamata Banerjee) ফর্মুলা জিতেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) স্ট্রিটফাইটার হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন আমাদের এরকম ফাইটার প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন সব কংগ্রেস দলের একসঙ্গে এসে BJP-র বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। 


 



অসমের (Assam) সুস্মিতা দেব (Susmita Deb) তৃণমূলে (TMC) যোগদানের পরে এটাই কংগ্রেস থেকে আসা দ্বিতীয় বড় যোগদান। আগামী বছর ত্রিপুরায় নির্বাচনের আগে সেখানে সুস্মিতা দেবকে (Susmita Deb) বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে গোয়া নির্বাচনের আগে Luizinho-র যোগদানের ফলে রাজ্যে তৃণমূলের প্রচার আরও সক্রিয় হবে। এই মুহূর্তে গোয়ায় কংগ্রেস (Congress) খুব বেশি শক্তিশালী নয়, অন্যদিকে আমি আদমি পার্টি (AAP) ভোটার আগে জোরদার প্রচার চালাচ্ছে সেখানে। 


Luizinho ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে ত্রিপুরার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ত্রিপুরাতেও (Tripura) তৃণমূলকে (TMC) সাহায্য করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে যেখানে BJP-কে আগামী নির্বাচনে হারিয়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে তৃণমূল (TMC)।