নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং দেশের অর্থনীতির স্বাধীনতার হিসেব কষা হবে। আগামিকাল শীর্ষ ব্যাঙ্কের সঙ্গে কেন্দ্রের বৈঠক নিয়ে এমনই কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। তাঁর দাবি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কোষাগারে থাকা ৯ লক্ষ কোটি টাকার ‘ভাগ বসাতে’ বদ্ধপরিকর মোদী সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমের আরও মন্তব্য, কোনও দেশের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বোর্ডের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। বেসরকারি সংস্থার ব্যক্তিরা যদি রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে পথ দেখায়, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। ১৯ নভেম্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং দেশের অর্থনীতির স্বাধীনতার হিসেব হতে চলেছে। উল্লেখ্য, সূত্রের খবর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কোষাগারে গচ্ছিত রয়েছে প্রায় ৯ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্র চাইছে মোট অঙ্কের এক তৃতীয়াংশ টাকা অর্থমন্ত্রকের হাতে তুলে দিক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। নগদের ঘাটতিতে ভুগতে থাকা ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে চাঙ্গা করতে উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্র। পাশাপাশি কেন্দ্রের দাবি, অনাদায়ী ঋণে জর্জরিত ১২টি রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্কের নয়া ঋণনীতি শিথিল করুক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।


আরও পড়ুন- সেনার চর! ২ তরুণকে খুনের পর সোপিয়ানে ফের এক যুবককে অপহরণ করল জঙ্গিরা


যদিও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে দ্বৈরথের অভিযোগ খারিজ করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অর্থসচিব সুভাষ চন্দ্র গর্গ বলেন, আরবিআইয়ের থেকে ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা নেওয়ার মতো কোনও প্রস্তাব কেন্দ্র রাখেনি। তাঁর যুক্তি, ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে সরকারের ঘাটতি ছিল ৫.১ শতাংশ। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষ থেকে ঘাটতির পরিমাণ কমতে থাকে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের শেষে ঘাটতি কমে দাঁড়াবে ৩.৩ শতাংশে। গর্গ বলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে বৈঠকের একমাত্র উদ্দেশ্য আলোচনার মাধ্যমে আরবিআইয়ে অর্থনৈতিক মূলধনের পরিকাঠামোর সঠিক দিশা তৈরি করা।


আরও পড়ুন- অমৃতসরের বিস্ফোরণে নিহত ৩, জখম কমপক্ষে ১০, জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট


চলতি সপ্তাহে কংগ্রেস নেতা অভিষেক সিঙ্ঘভি দাবি করেন,  রিজার্ভ ব্যাঙ্কে থেকে ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা পেতে ক্রমশ চাপ সৃষ্টি করছে মোদী সরকার। একেই মোদীর নোটবন্দি সিদ্ধান্তে দেশের সার্বিক বৃদ্ধির ১.৫ পিসি (পার ক্যাপিটা) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের ওই অর্থ শিল্পপতিদের ‘বিলিয়ে’ দেয় কেন্দ্র, তা হলে এক ধাক্কায় জিডিপির ২ পিসি উধাও হয়ে যাবে। সিঙ্ঘভির কটাক্ষ, এ বার ডিমনেটাইজেশন পার্ট-টু ঘটাতে চাইছেন মোদী। সিঙ্ঘভির আরও দাবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উদ্বৃত্ত অর্থের যে লভ্যাংশ সরকার নিতে চাইছে, তা এক দশক ধরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের জমানো অর্থের ৪০ শতাংশের সমান। বলাবাহুল্য ওই অঙ্ক জিডিপির ২ শতাংশের কাছাকাছি।