Kesarinath Tripathi Passes Away: প্রয়াত প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, ট্যুইটে শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
Kesarinath Tripathi Passes Away: এম কে নারায়ননের পরে এই রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। জগদীপ ধনখরের আগে পাঁচ বছর এই রাজ্যের রাজ্যপাল ছিলেন তিনি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রয়াত প্রাক্ত রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এম কে নারায়ননের পরে এই রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। জগদীপ ধনখরের আগে পাঁচ বছর এই রাজ্যের রাজ্যপাল ছিলেন তিনি।
রবিবার ভোর ৫টায় প্রবীণ বিজেপি নেতা এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর মৃত্যু হয়। ৮৮ বছর বয়সে, ত্রিপাঠী তাঁর প্রয়াগরাজের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিকেল ৪টেয় প্রয়াগরাজের রসুলবাদ ঘাটে শেষকৃত্য হবে। কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেই সঙ্গে ইউপি বিজেপি তাদের সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করেছে।
দুই একটি বিতর্কিত বিষয় বাদে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল তাঁর। ত্রিপাঠীর প্রয়ানে নরেন্দ্র মোদী ট্যুইট করে জানিয়েছেন তিনি প্রয়াত হয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদন আজানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও বিভিন্ন সময় উত্তর প্রদেশে বিজেপির বিভিন্ন সাংগঠনিক দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সুসম্পর্ক ছিল তাঁর।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ সালে ত্রিপাঠীকে স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এর পর গত ৪ জানুয়ারি শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর পরিবারে রয়েছেন তাঁর ছেলে অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল নীরজ ত্রিপাঠি এবং দুই মেয়ে। রবিবারই লখনউয়ের এসজিপিজিআই-তে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর।
তিনবার ইউপি বিধানসভার স্পিকার ছিলেন
পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী ১৯৩৪ সালের ১০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। এলাহাবাদ হাইকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট হওয়ার পাশাপাশি তিনি বহু বছর ধরে ইউপি বিধানসভার স্পিকারও ছিলেন। কেশরীনাথ ত্রিপাঠী তিনবার ইউপি বিধানসভার স্পিকার ছিলেন। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির ইউপি ইউনিটের সভাপতিও ছিলেন। কেশরীনাথ ত্রিপাঠী ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন, সেই সময়ে তাকে বিহার, মেঘালয় এবং মিজোরাম রাজ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর রাজনৈতিক যাত্রা
ঝুসি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জনতা পার্টির সদস্য হিসাবে, তিনি ১৯৭৭ থেকে ৮০ সাল পর্যন্ত বিধায়ক ছিলেন। এরই মধ্যে ইউপিতে প্রাতিষ্ঠানিক অর্থ ও বিক্রয় কর মন্ত্রকের মন্ত্রীর দায়িত্বও দেওয়া হয় তাঁকে। কেশরীনাথ ত্রিপাঠী ১৯৮০ সালের এপ্রিল মাসে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন। এর পরে তিনি ১৯৮৯, ১৯৯১, ১৯৯৩, ১৯৯৬ এবং ২০০২ সালে এলাহাবাদ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৯১ থেকে ৯৩ এবং ১৯৯৭ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত উত্তর প্রদেশ বিধানসভার স্পিকার ছিলেন। ২০০৪ সালে, তাকে ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি করা হয়েছিল এবং বিজেপির জাতীয় শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যও ছিলেন। ২০১২ সালে, প্রয়াগরাজের এলাহাবাদ দক্ষিণ বিধানসভা আসন থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং পরাজিত হন। এখান থেকেই রাজনৈতিক কেরিয়ারের পতন শুরু হয় তাঁর।
সক্রিয়ভাবে কাশ্মীর আন্দোলনে অংশ নেন
কেশরীনাথ ত্রিপাঠী তাঁর জীবনের শুরুর সময়ে সামাজিক কাজ এবং জাতীয় রাজনীতিতে আগ্রহী ছিলেন। ১৯৪৬ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সদস্য হয়ে এবং ১৯৫২ সালে ডানপন্থী রাজনৈতিক দল জনসঙ্ঘে যোগদানের মাধ্যমে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি ১৯৫৩ সালে জনসংঘের শুরু করা কাশ্মীর আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এর কারণে তিনি গ্রেফতার হন এবং নৈনী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্বল্প মেয়াদে কারাবাস করেন।