নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লি হিংসায় উস্কানিমূলক কার্যকলাপের অভিযোগে গ্রেফতার করা হলো প্রাক্তন জেএনইউ ছাত্র উমর খালিদকে। এবার গ্রেফতার বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-এর ধারায়। এর আগে এই ঘটনায় সীতারাম ইয়েচুরি, যোগেন্দ্র যাদব, জয়তী ঘোষ-সহ একাধিক বিশিষ্টের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে অতিরিক্ত চার্জশিট দিয়েছে দিল্লি পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিএএ বিরোধী আন্দোলনের 'আঁতুড়ঘর' শাহিনবাগে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে উমর খালিদকে অন্যতম অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত করা হয়। গত ১ অগস্ট উমরকে জেরাও করে পুলিস। রবিবার আরও একবার প্রাক্তন জেএনইউ ছাত্রকে ম্যারাথন জেরা চালানো হয়। সূত্রে খবর, প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিস। দিল্লি হিংসায় অন্যতম অভিযুক্ত আম আদমি পার্টির প্রাক্তন কাউন্সিলর তাহির হুসেনের সঙ্গে উমরের যোগসাজশ ছিল বলে দাবি পুলিসের। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গিয়েছে।


উল্লেখ্য, শাহিনবাগে মাসাধিকাল ধরে চলা সিএএ বিরোধী আন্দোলন আরও প্রকট হয়ে ওঠে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতে আসার পর। তাঁর সামনে কালো পতাকা উড়িয়ে প্রতিবাদ জানান সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীরা। উমরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শাহিনবাগে উস্কানিমূলক মন্তব্য এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে প্রতিবাদে ইন্ধন দেওয়া। উল্লেখ্য, দিল্লি হিংসায় মৃত্যু হয় ৫৩ জনের। আহত শতাধিক। ক্ষয়ক্ষতি হয় লক্ষাধিক টাকার।


আরও পড়ুন- 'মার্চের মধ্যেই করোনার টিকা পেয়ে যাবে ভারত, কারও সন্দেহ থাকলে আমিই নেব প্রথম ডোজ'


উমরে বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ এই প্রথম নয়। ২০০১ সালে সংসদ হামলার মূল চক্রী আফজল গুরুর স্বপক্ষে জেএনইউ-তে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে উমর খালিদ-কানাইয়া কুমারদের বিরুদ্ধে। সে সময়  ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ নম্বর ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে উমরকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিস।