নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পার করে ভারতে পালিয়ে এলেন খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের এক বিধায়ক। ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির বিধায়ক বলদেব কুমার এখন রাজনৈতিক আশ্রয় চাইছেন এদেশে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মমতা যা করছে, পালটা হবে, জেরার পর থানা থেকে বেরিয়ে বললেন মুকুল


খাইবার পাখতুনখাওয়ার বারিকোটের বিধায়কের বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা হয়। সরন সিং নামে খাইবার প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর এক পরামর্শদাতাকে খুনে অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৮ সালের প্রামণের অভাবে মুক্তি পান বলদেব। তার পরে আর দেশে থাকার সাহস করেননি তিনি। পরিবারকে নিয়ে পালিয়ে এসেছেন ভারতে।


পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা সম্পর্কে বলদেব জি নিউজকে বলেন, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপরে প্রবল অত্যাচার চলছে। হিন্দু ও শিখ নেতাদের খুন রা হচ্ছে। আর ওখানে ফিরতে চাই না। শুধুমাত্র সংখ্যালঘুরাই নন, ওখানে মুসিলমরাও নিরাপদ নন। অনেক কষ্টে সংখ্যালঘুরা ওখানে টিকে রয়েছে। আমি চাই ভারত সরকার আমাকে এখানে রাজনৈতিক আশ্রয় দিক। আর ফিরতে চাই না।


আরও পড়ুন-টিউশন থেকে ফেরার পথে অ্যাসিড হামলা, ভরসন্ধেয় ঝলসে গেল নবম শ্রেণির ২ ছাত্রী  


উল্লেখ্য, সপ্তাহ দুয়েক আগেই লাহেরে এক শিখ তরুণীকে অপহরণ করে ধর্মান্তর করা হয়। এনিয়ে ইমরান খান সরকারের ওপরে চাপ সৃষ্টি করে দিল্লি সহ পঞ্জাবের বেশ কয়েকটি শিখ সংগঠন। সেই চাপে এখন ওই তরুণীকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলছে প্রশাসন। তবে ওই তরুণী এখনও তার পারিবারের কাছে ফিরতে পারেননি।




এ বছর অগাস্ট মাসে একটি পাক এনজিও অভিযোগ করে, সংখ্যালঘু হওয়ার কারণেই পাকিস্তানে অনেককে মামলায় জড়িয়ে শাস্তি দেওয়া হয়। হিউম্যান রাইটস ফোকাস নামে ওই সংস্থার প্রেডিডেন্ট নাভেদ ওয়াল্টার রাষ্ট্রসংঘে বলেছেন, সমাজের একটি বড় অংশের মানুষকে কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের মধ্যেও যারা সংখ্যালঘু তাদের নরক যন্ত্রণা ভোগ করছেন।