নিজস্ব প্রতিবেদন: বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না রাহুল গান্ধীর। বুধবার মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্নের মুখে পড়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। এদিন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শাহিদ সিদ্দিকি টুইটারে উর্দু দৈনিক 'ইনকিলাব'-এর একটি প্রতিবেদন 'আপলোড' করে দাবি করেন, রাহুল কংগ্রেসকে 'মুসলিমদের দল' বলেছেন কি না তা স্পষ্ট করতে হবে কংগ্রেসকেই।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চলতি সপ্তাহে একের পর এক বির্তকে জড়িয়ে পড়ছে কংগ্রেস। মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক ঘিরে ইতিমধ্যে রাহুলের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওই বৈঠকেই আবার রাহুলের মুখের উপরে কংগ্রেসের 'নরম হিন্দুত্বে'র কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বুদ্ধিজীবীরা। সূত্রের খবর, দেশের মুসলিম সমাজ যে কংগ্রেসের নরম হিন্দুত্বের রাজনীতিতে আশঙ্কিত তা স্পষ্ট করেছেন। এমনকি সাম্প্রতিক ভোটপ্রচারে রাহুলের মন্দিরযাত্রা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। রাহুল অবশ্য আশ্বস্ত করেন, কংগ্রেস সকলকে নিয়ে চলতে আগ্রহী। শুধু মন্দির নয়, মসজিদ ও গির্জাতেও গিয়েছিলেন তিনি। তবে সে খবর সম্প্রচার করেনি সংবাদমাধ্যম। ওই বৈঠক নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনেই উর্দু দৈনিক ইনকিলাব দাবি করেছে, মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের রাহুল গান্ধী বলেছেন, "কংগ্রেস মুসলিমদের দল"। 


ইনকিলাবের এই প্রতিবেদন টুইট করে কংগ্রেসকে অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি করেছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শাহিদ সিদ্দিকি। তিনি লিখেছেন, ''এটা কি সত্যি না কি ভিন্নমত পোষণ করে দল? মুসলিমরা মুসলিম দল চায় না। বরং তাঁরা ধর্মনিরপেক্ষ দল চায়। যারা নাগরিকদের বৈষম্য করে না।''  



বৃহস্পতিবারই শশী থারুর মন্তব্য করেছিলেন, ২০১৯ সালে বিজেপি প্রত্যাবর্তন করলে 'হিন্দু পাকিস্তান' তৈরি হবে।' তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ বলেছিলেন, বিজেপি পুনরায় ক্ষমতায় এলে ভারতীয় সংবিধান সুরক্ষিত থাকবে না। ওরা নতুন সংবিধান লিখতে চলেছে। আর ওই নতুন সংবিধানে থাকবে হিন্দু রাষ্ট্রের নীতি। সংখ্যালঘুদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে। তৈরি হবে হিন্দু পাকিস্তান। এমন ভারত দেখার জন্য স্বাধীনতার লড়াইয়ে অংশ নেননি মহাত্মা গান্ধী, নেহরু, সর্দার পটেল, মৌলানা আজাদের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীরা।''



শশীর এই মন্তব্য থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, ব্যক্তিগতভাবে ওই মন্তব্য করেছেন দলের সাংসদ। তবে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শশীর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে বিঁধেছে বিজেপিও। রাহুল গান্ধীকে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে বলে দাবি করেছেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত্ পাত্র।



আরও পড়ুন- জেলায় জেলায় শরিয়ত আদালতের পক্ষে সওয়াল প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির