নিজস্ব প্রতিবেদন : আজিজুল মণ্ডল, তানজেল শেখ, সাহেব ও তার নাবালক ছেলে। চারজনই বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী। অথচ তিনজনের কাছে আধার ও ভোটার কার্ড রয়েছে। কিন্তু পুলিস মানতে নারাজ। আসলে থানায় দাঁড়িয়ে ঠিক করে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারেনি চারজন। তাই তাঁরা অনুপ্রবেশকারী! এমনই নিদান পুলিসের। যদিও ওই চারজনের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন কয়েকজন আইনজীবী। আর তার পরই পুলিস নতুন যুক্তি দিয়েছে। ওই চারজনের ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেঙ্গালুরুর মারঠাহাল্লি থানার পুলিশ চারজন শ্রমিককে গভীর রাতে বস্তি থেকে তুলে আনে। তাদের মধ্যে একজন নাবালক। মুনেকোলালার শ্রমিক বস্তি থেকে তুলে আনা চারজনকে পুলিসে থানার মধ্যেই জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলে। ঠিক করে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে না পারায় চারজনকে অনুপ্রবেশকারী বলে চিহ্নিত করে পুলিস। এর পর ওই চারজন যাবতীয় কাগজপত্র দেখান। ভোটার কার্ড, আধার কার্ড দেখার পরও পুলিস মানতে চায়নি। পুলিসের সাফ জবাব, জাতীয় সঙ্গীত গাইতে না পারা মানেই অনুপ্রবেশকারী। তিনজন শ্রমিক নদিয়া জেলার বাসিন্দা। আর তার পোক্ত প্রমাণও তাঁরা দিয়েছেন। কিন্তু পুলিস মানতে নারাজ।


আরও পড়ুন-  নামাজের পরিবর্তে মসজিদে অস্ত্র জড়ো করছে মুসলিমরা, বিস্ফোরক দাবি বিজেপি বিধায়কের


পুলিসের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে মুনেকোলালার শ্রমিক বস্তিতে অপরাধমূলক কাজকর্ম চলে। কিন্তু বস্তির লোকজন জানিয়েছে, পুলিস ওই চারজনকে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে গভীর রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। অলটারনেটিভ ল ফোরাম-এর কয়েকজন আইনজীবী ওই শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। পুলিস এর পর থেকেই ওই চারজনের বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ প্রমাণের চেষ্টা করছে।