অন্ধ্র হাতছাড়া, রাজ্যসভায় চন্দ্রবাবুর দলটাই কার্যত ভিড়ে গেল বিজেপিতে
রাজ্যসভায় টিডিপির সাংসদ সংখ্যা ৬।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটের আগে মোদীকে হারাতে গোটা দেশ চষে বেড়িয়েছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশেই ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেননি। বৃহস্পতিবার আরও একটা ধাক্কা খেলেন চন্দ্রবাবু। তাঁর দলের ৪ জন রাজ্যসভার সাংসদ যোগ দিলেন বিজেপিতে। ফলে রাজ্যসভায় শক্তি বাড়ল গেরুয়া শিবিরের।
রাজ্যসভায় টিডিপির সাংসদ সংখ্যা ৬। তার মধ্যে ৪জন সাংসদ বিজেপিতে যোগদান করতে চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে অনুমতি চান। তাঁদের আবেদনে সাড়া দেন রামনাথ কোবিন্দ। এরপর রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে দেখা করেন টিডিপি-র ৩ জন সাংসদ- ওয়াইএস চৌধরি, সিএম রমেশ ও টিজি ভেঙ্কটেশ। অসুস্থতার জন্য জিএম রাও অনুপস্থিত ছিলেন। তবে সমর্থনপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। এরপর বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে তাঁরা সকলেই বিজেপিতে যোগদান করেন। টিডিপি সাংসদরা জানান, দেশের জনাদেশ নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রয়েছে। সে কারণে বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
বর্তমানে লন্ডনে রয়েছে চন্দ্রবাবু নাইডু। খবর পাওয়ার পর চন্দ্রবাবু নাইডু বার্তা দেন, রাজ্যের স্বার্থে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। বিশেষ রাজ্যের তকমা পেতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ছেড়ে দিয়েছিলাম। টিডিপি-কে দুর্বল করার চেষ্টা করছে বিজেপি। তীব্র নিন্দা করছি। দলের জন্য এটা নতুন সংকট নয়। নেতা ও কর্মীরা হতাশ হবেন না।
অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ রাজ্যের তকমার দাবিতে এনডিএ ছাড়েন চন্দ্রবাবু নাইডু। লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীদের এক জায়গায় আনতেও তদ্বির করেন। দেশজুড়ে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন নাইডু। কিন্তু লোকসভা ভোটে ধরাশায়ী হয় বিরোধীরা। গোদের উপরে বিষফোঁড়ার মতো অন্ধ্রপ্রদেশেও গোহারা হন চন্দ্রবাবু নাইডু। সে রাজ্যের ক্ষমতায় এখন ওয়াইএসআর কংগ্রেসের জগন্মোহন রেড্ডি। তাঁর সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর বেশ সুসম্পর্ক। নীতি আয়োগের বৈঠকেও এসেছিলেন রেড্ডি। গতকাল এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলগুলির বৈঠকেও যোগ দিয়েছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- GDP-র নিরিখে বিশ্বের ৫ নম্বর অর্থনীতি হওয়ার পথে এগোচ্ছে দেশ: রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ