নিজস্ব প্রতিবেদন: লন্ডনে ইভিএম হ্যাকিংয়ের দাবি করে ভারতীয় রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছেন স্বঘোষিত সাইবার বিশেষজ্ঞ সৈয়দ শুজা। তবে তাঁর অধিকাংশ দাবিই ইতিমধ্যে বাস্তবের সঙ্গে মিলছে না। লন্ডনে স্কাইপের মাধ্যমে সাংবাদিক বৈঠকে শুজা দাবি করেছেন, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে ইভিএমে কারচুপি করা হয়েছিল। ইভিএম তৈরি করে যে সংস্থা, সেখানে তিনি কাজ করেছেন বলে দাবি করেছেন শুজা। কিন্তু সেই সংস্থাই শুজার দাবি খারিজ করে দিয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতের নির্বাচন কমিশনের জন্য ইভিএম তৈরি করে ইলেকট্রনিক কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড। সৈয়দ শুজা দাবি করেছেন, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ওই সংস্থায় কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু ওই সময় শুজা নামে কোনও ব্যক্তি তাদের সংস্থায় কর্মরত ছিলেন না বলে জানিয়েছে ইসিআইএল। ইসিআইএলের ডিরেকটর সঞ্জয় চৌবে নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো চিঠিতে লিখেছেন, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সৈয়দ শুজা নামে কোনও ব্যক্তি তাদের নিয়মিত কর্মী ছিলেন না বা অন্য কোনওভাবে কাজ করতেন না।


শুজা দাবি করেছেন, হায়দরাবাদের শাদান কলেজের পড়াশুনো করেছিলেন তিনি। সেই দাবিও খণ্ডন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। শুজার বক্তব্য থেকে দূরত্ব বাড়িয়েছে ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন। তারা টুইটারে জানাল, ''শুজা যে দাবি করেছে, তার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। মুখোশধারী বক্তার কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি'।      


 



রিলায়্যান্স জিও-র নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন শুজা। কিন্তু তখন তো বাজারেই আসেনি জিও। 


আরও পড়ুন- রাহুল নয়, কংগ্রেসের নেতৃত্বে জোট ক্ষমতায় এলে ইনিই হবেন প্রধানমন্ত্রী: সূত্র


সোমবার সৈয়দ সুজা লন্ডনে সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে ইভিএম হ্যাক করা হয়েছিল। ইসিএলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে ইভিএমে কারচুপি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে শুজার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিস।