নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোটে ফের বিতর্ক। এবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার বক্তব্য ঘিরে তৈরি হল বিবাদ। সিদ্দারামাইয়া দাবি করেছেন, ফের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসতে তৈরি তিনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পদে তো রয়েছেন কুমারস্বামী? তাহলে কি কুমারস্বামীকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সিদ্দারামাইয়া? জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, গণতন্ত্রে যে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঠিক কী বলেছেন সিদ্দারামাইয়া? একটি জনসভায় কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''জনতার আর্শীবাদে আরও একবার মুখ্যমন্ত্রী হব। আমাকে হারাতে বিরোধীরা একজোট হয়েছিল। ভোটে জাতপাতের কার্ড ও প্রচুর অর্থ  ব্যবহার করেছিল তারা। ভেবেছিলাম, ফের মানুষের আর্শীবাদ পাব। তবে তা হল না। রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু হয় না। হার-জিত তো চলতেই থাকে''। বিরোধীরা একজোট হয়েছে! অর্থাত্ ঠিক বোঝাতে চাইলেন সিদ্দারামাইয়া। শরিক দলের নাম না নিয়েই কি বুঝিয়ে দিলেন, তাঁকে হারাতে একজোট হয়েছিল জেডিএস-বিজেপি? উঠছে প্রশ্ন।



তবে সব জল্পনা উড়িয়ে নিজের অবস্থানেই অনড় সিদ্দারামাইয়া। তাঁর স্পষ্ট কথা,''আপনারা যা ইচ্ছা ভাবতে পারেন। পরের নির্বাচনেই ক্ষমতায় ফিরব''। আপনি কি মুখ্যমন্ত্রী হবেন? সাংবাদিকদের এহেন প্রশ্নের উত্তরে সিদ্দারামাইয়া বলেন, ''মানুষ আর্শীবাদ করলে নিশ্চিতভাবে হব। ওই অনুষ্ঠানে অনেক দাবি উঠ উঠেছিল। ক্ষমতায় ফিরে সেগুলি পূরণ করব''।



প্রশ্ন হল, ক্ষমতায় তো কংগ্রেসই রয়েছে। জেডিএস-র সমর্থন নিয়েই তো তারা জোট সরকার চালাচ্ছে। সিদ্দার মন্তব্য প্রসঙ্গে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, গণতন্ত্রের যে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন।


কর্ণাটক বিধানসভার ভোটে কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বিজেপিকে ঠেকাতে জেডিএস-কে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়ে ক্ষমতা দখলে রাখে কংগ্রেস। যদিও জোট গঠনের পর মন্ত্রক বণ্টন নিয়ে দুদলের মধ্যে টানাপোড়েন চলে। অর্থ ও স্বরাষ্ট্র জেডিএস-কে ছাড়তে বাধ্য হয় কংগ্রেস। তবে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়েছে তারা। তার কয়েকদিন পর ভরা জনসভায় একদিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার পুত্র চোখের জল ফেলতে ফেলতে দাবি করেছিলেন, জোট সরকারের বিষপান করছেন তিনি। এবার সিদ্দারামাইয়ার দাবি ঘিরে শুরু হল নতুন বিতর্ক। রাজনৈতিক মহলের মতে, কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোট যে সুখে নেই, তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।


আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর নাম বদলে দিলে ভোট পাবে বিজেপি: কেজরিওয়াল