নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান হিসাবে তাঁর পরিচিতি সারা বিশ্বে। তাঁর হাত ধরেই ইসরো পেয়েছে একের পর এক সাফল্য। সেই ডঃ কে শিবনই এক সময়ে বাবার সঙ্গে চাষের কাজে হাত লাগিয়েছেন। আর্থিক অনটনের কারণে স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে পড়তে পারেনি পছন্দের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। আজ তাঁরই হাত ধরে চাঁদের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে ভারত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



কথায় বলে কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে। ডঃ কে শিবনের জীবনে যেন অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায় সেই কথা। এক সময়ে বাবার সঙ্গে আম বাগানে কাজ করতেন আজকের ইসরো প্রধান। পড়াশোনার ফাঁকে সময় পেলেই চাষে সাহায্য করতেন বাবাকে। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এমনটাই জানিয়েছিলেন ইসরো প্রধান। শুধু তাই নয়, কে শিবনের ছাত্রাবস্থাও কেটেছে সাদামাটাভাবেই। মজার ছলে জানিয়েছিলেন ইসরোর প্রধান, "কলেজে ওঠার আগে সেভাবে জুতো পরিনি। প্যান্টও ছিল না একটাও। ধুতি পরতাম।"


আরও পড়ুন : ইসরোর বিজ্ঞানীদের কঠোর পরিশ্রমকে কুর্নিশ জানিয়ে পাশে থাকার বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতার


স্কুলে ভাল রেজাল্ট করে বি টেক পড়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বাধ সাধে আর্থিক সংগতির অভাব। অগত্যা বাবার কথা মতো বাড়ির কাছের কলেজেই গণিতে বিএসসি নিয়ে পড়াশোনা করেন। যদিও পরে তাঁর ইচ্ছামতো তাঁকে বিটেক পড়তে সাহায্য করেন তাঁর বাবা। জমি বেচে ভর্তি করান বিটেক কলেজে। তার পর ধাপে ধাপে প্রবেশ মহাকাশ গবেষণার জগতে।


"তবে, কখনও কোনও কিছুর অভাব বোধ করিনি", বক্তব্য সদাহাস্যময় ডঃ শিবনের। "খাওয়া দাওয়ায় কোনও অভাব ছিল না। এক জন অভিভাবকের সবচেয়ে বড় কর্তব্য সেটাই", বললেন তিনি। 


জীবনের সাফল্যের পথে কোনও কিছুকেই বাধা হয়ে দাঁড়াতে দেননি। নিজের কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার জেরে আজ তিনি ভারতের মহাকাশ অভিযানের মূল কান্ডারি। সীমিত বাজেটেই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন ভারতের মহাকাশ গবেষণা। ইসরোর অগ্রগতিতে আজ ডঃ কে শিবনকে কুর্নিশ করছে গোটা দেশ।