নিজস্ব প্রতিবেদন- সারা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত সংখ্যা ৯,৭৫৬। মৃত্যু হয়েছে ৩৭৭ জনের। কিন্তু অস্বাভাবিকভাবেই সিকিমে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য। এখনও সিকিমের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারেনি নোভেল করোনাভাইরাস। ১৬ মার্চ সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং করোনা মোকাবিলায় বিদেশী ও দেশী পর্যটকদের রাজ্যে ঢোকার সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সিল করা হয়েছিল বর্ডার। একেবারে সহজ স্ট্র্যাটেজি। আর তাতেই বড়সড় সাফল্য পেল সিকিম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনা রোখার তাগিদে সিকিমের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছিল সিকিম প্রশাসন। প্রেম সিং সকলের কাছে খুব প্রয়োজন না হলে বাইরে না বেরোনোর আবেদন করেছিলেন। পুরো রাজ্য ছিল কোয়ারেন্টাইনে আবদ্ধ। তাই সেখানে এখনও পর্যন্ত একজনও করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়নি। সহজ, সরল টোটকায় কাজ হয়েছে ম্যাজিকের মতো। এখনও পর্যন্ত করোনার ভয়াবহতা অন্য রাজ্যগুলিতে মারাত্মক হলেও সিকিমে প্রাণঘাতী ভাইরাস থাবা বসাতে পারেনি। সারা দেশের প্রায় ৮ শতাংশ ভৌগলিক পরিধি ধরে বিস্তার সিকিমের। সারা দেশের মোট চার শতাংশ মানুষ বসবাস করেন সিকিমে। 


আরও পড়ুন— মেঘালয়ে মৃত করোন আক্রান্ত চিকিত্সক, কোভিড সংক্রমিত সন্দেহে চিহ্নিত ২০০০


অসমে করোনা আক্রান্ত ৩২, অরুণাচলে এক, মনিপুরে দুই, মিজোরামে এক, মেঘালয়ে সাত ও ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্ত মাত্র দুজন। যা কিনা সারা দেশের অন্যান্য রাজ্যের করোনা আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় অনেকটা স্বস্তির। 
স্বাস্থ্যবিদ প্রদীপ ভৌমিকের কথা অনুযায়ী, সিকিমের আয়তন, কম ঘনবসতি, সবকিছুই সিকিমকে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করেছে। প্রসঙ্গত সিকিম ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য এবং বিশ্বের প্রথম অরগানিক রাজ্য হিসেবে ঘোষিত হয়েছিল।