বাঙালির বিশ্বজয়! পরীক্ষায় ফেল করে, বাড়ি থেকে পালিয়ে দেড়শো কোটি ডলারের মালিক!
ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের সাধারণ পরিবারে তাঁর জন্ম। পরীক্ষায় ফেল করে বাড়ি থেকে পালিয়ে দিল্লি চলে যান। সেখানে এক বস্তির ঘরে মাটিতে শুয়ে রাত কাটাতে হতো। একই ঘরে থাকতো আরও ছ`জন। দিনে দুটো কাজ। এক, খবরের কাগজ বেচা আর দুই রেস্টুরেন্টে কাজ করা। সেখানেই একদিন দেখলেন পত্রিকায় এক বিজ্ঞাপন। ব্যবসার নতুন আইডিয়া নিয়ে প্রতিযোগিতা। বিজয়ী পাবে ১০,০০০ ডলার!
ওয়েব ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের সাধারণ পরিবারে তাঁর জন্ম। পরীক্ষায় ফেল করে বাড়ি থেকে পালিয়ে দিল্লি চলে যান। সেখানে এক বস্তির ঘরে মাটিতে শুয়ে রাত কাটাতে হতো। একই ঘরে থাকতো আরও ছ'জন। দিনে দুটো কাজ। এক, খবরের কাগজ বেচা আর দুই রেস্টুরেন্টে কাজ করা। সেখানেই একদিন দেখলেন পত্রিকায় এক বিজ্ঞাপন। ব্যবসার নতুন আইডিয়া নিয়ে প্রতিযোগিতা। বিজয়ী পাবে ১০,০০০ ডলার!
আরও পড়ুন কে বলে পোকেমন খারাপ? পোকেমন মানুষের থেকেও বড়
১৬-বছর বয়সের অম্বরীশ মিত্রের বুদ্ধিই জয়ী হয়। তার আইডিয়াটি ছিল, স্বল্প আয়ের নারীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট পরিসেবা পৌঁছে দেওয়া। পুরস্কারের টাকা দিয়েই শুরু হলো সেই ব্যবসা। নাম তার উওমেন ইনফোলাইন। ব্যবসা সফল হলো। ১২৫ জন কর্মচারীকে চাকরি দিলেন তিনি। ব্যবসাটি এক সময় বিক্রি করে দিয়ে সেই টাকা নিয়ে তিনি চলে এলেন লন্ডনে। কিন্তু ব্রিটেনে ব্যবসা দাঁড় করানো সহজ ছিল না। নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এক সময় তাঁর সঙ্গে দেখা হলো ওমর তায়েবের। দুজনে মিলে শুরু করলেন নতুন এক মোবাইল ফোন অ্যাপ, যার নাম ব্লিপার। এরপর অম্বরীশ মিত্রকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি। ব্লিপারের ব্যবসার পরিমাণ এখন দেড়শা কোটি ডলারেরও বেশি।
লন্ডন, নিউ ইয়র্ক, স্যানফ্রান্সিসকো, সিঙ্গাপুর, দিল্লিসহ ১২টি শহরে ব্লিপারের অফিস রয়েছে। আর এই কোম্পানিতে কাজ করেন মোট ৩০০ জন কর্মচারী। সারা বিশ্বে ৬৭,০০০ স্কুলে ব্লিপারের অ্যাপ ব্যবহৃত হচ্ছে।
আরও পড়ুন পুজোর আগেই চালু হবে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে রেল যোগাযোগ