নিজস্ব প্রতিবেদন- ছত্তিশগঢ়ের রাজধানী রায়পুরসহ একাধিক শহরে ২১ তারিখ রাত নটা থেকে ২ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউন করার ঘোষণা করেছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসন রায়পুরকে কন্টেইনমেন্ট জোন বলে ঘোষণা করেছে। লকডাউন চলাকালীন কোন কোন বিষয়ে ছাড় দেওয়া হবে তা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক চলছে। এখনও পর্যন্ত ঠিক করা হয়েছে, ওষুধের দোকান, পেট্রল পাম্প ও দুধ এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান নির্ধারিত সময়ে খোলা ও বন্ধ করার অনুমতি দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসন ও পুলিসের কর্তারা আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন। জানা যাচ্ছে, আজ সন্ধ্যে নাগাদ সাতদিন লকডাউনের ঘোষণা করে দেবে প্রশাসন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ছত্তিশগঢ়ে সব থেকে বেশি সংক্রমণের হার প্রশাসনের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে তাই সাতদিন লকডাউন ছাড়া আর কোনও রাস্তা খুঁজে পায়নি প্রশাসন। জেলার বিভিন্ন দফতরের কর্তাদের যে কোনও সময় প্রয়োজনে লকডাউন ঘোষণার অনুমতি দিয়ে রেখেছেন মু্খ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। যে কোনও জেলায় সংক্রমণের হার বাড়লে জেলাশাসক লকডাউন ঘোষণা করতে পারবেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৮৪২ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। মারা গিয়েছে ১৭ জন। তবে ২৬১৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছেন। তবুও প্রশাসন কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। 


আরও পড়ুন-  বিদ্যুত-জলের বিলে ৫০ শতাংশ ছাড়, জম্মু-কাশ্মীরের জন্য ১,৩৫০ কোটির প্যাকেজ প্রশাসনের


রায়পুরে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৭২ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর খোঁজ পেয়েছে প্রশাসন। আর তাই পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগে সাতদিন লকডাউন করে ঝুঁকি এড়াতে চাইছে প্রশাসন। জেলাশাসকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী সাতদিন কঠোরভাবে লকডাউন পালন করা হবে। লকডাউন অমান্য করলে যে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।