ওয়েব ডেস্ক : ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে দেশজুড়ে মিশ্র সাড়া। ধর্মঘটের প্রভাবে স্তব্ধ কেরল, ত্রিপুরা, কর্নাটক। তবে রাজধানী দিল্লি বা মুম্বইয়ের মতো বাণিজ্য শহরে তেমন কোনও দাগ কাটতে পারল না দশ শ্রমিক সংগঠনের ডাকা  ধর্মঘট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেরল
বামশাসিত কেরলে ধর্মঘটের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে। ইসরোর ৬০০০ কর্মী এদিন কাজে যোগ দেননি। ইসরোর ক্ষেত্রে অতীতে বনধের এমন নজির নেই। কোচিতে ট্যাক্সি চালকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ধর্মঘট সমর্থনকারীদের। রাস্তাঘাটে গাড়ি প্রায় চলেনি। বন্ধ ছিল দোকানপাট, স্কুল, কলেজও।


ত্রিপুরা
দোকানপাট, ব্যবসা, বাজার, ব্যাঙ্ক, সরকারি দফতর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সবই বন্ধ ছিল ত্রিপুরায়। রাস্তায় কোনও গাড়ি চলতে দেওয়া হয়নি। রেল পরিষেবাও ব্যাহত হয়। কর্মীরা কাজে যোগ না দেওয়ায় ত্রিপুরা-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ব্যাহত হয়।


কর্নাটক
বেঙ্গালুরুর সব স্কুল-কলেজ ছিল বন্ধ। বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়। ব্যাঙ্ক, বেসরকারি শিল্প ও পরিবহণ ছিল প্রায় বন্ধ।


তবে ভিন্ন ছবি দেখা গিয়েছে তামিলনাড়ুতে। সরকারি-বেসরকারি দফতর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানবাজার সবই খুলেছে অন্য দিনের মতো। ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও ছিল স্বাভাবিক। মহারাষ্ট্রের অন্য জায়গায় ধর্মঘটের আংশিক প্রভাব পড়লেও, স্বাভাবিক ছন্দে ছিল মুম্বই। নির্ধারিত সময়সূচি মেনেই চলেছে লোকাল ট্রেন। রাস্তায় চলেছে পর্যাপ্ত বাস। বাংলাতেও ছিল বনধে সম্পূর্ণ অন্য ছবি। ধর্মঘট সফল করতে নেমে এদিন কেন্দ্রকে তোপ দাগে এআইটিইউসি, আইএনটিইউসি। কয়েকটি রাজ্য ছাড়া অন্য রাজ্যের মানুষ ধর্মঘট থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় দশ শ্রমিক সংগঠনের আন্দোলন তেমন সাড়া ফেলল না গোটা দেশে।