নিজস্ব প্রতিবেদন: কৃষকদের চূড়ান্ত কথা শুনিয়ে দিল গাজিয়াবাদ প্রশাসন। ছাড়তে হবে বিক্ষোভস্থল। যদিও কৃষকনেতারাও বিষয়টি নিয়ে অনড়। গুলি চললেও বিক্ষোভস্থল ছেড়ে যাবেন না তাঁরা, এমনটাই জানিয়েছেন কৃষক সংগঠনের নেতারা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই কৃষকদের ছেড়ে চলে যেতে আন্দোলনক্ষেত্র (clear the Ghazipur protest site by tonight), এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করল গাজিয়াবাদ প্রশাসন (Ghaziabad administration)। এই মর্মে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বহুদিন ধরেই কৃষকেরা এই অঞ্চলে তিন কৃষি বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ (farmer protest) দেখিয়ে যাচ্ছেন।


Also Read: 'কৃষকরাই দেশের আসল নায়ক' আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে টুইট মমতার


গাজিয়াবাদ ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট জানান, বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই protest site ফাঁকা করে দিতে হবে। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট  Ajay Shankar Pandey উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্তা, পুলিস কর্তাদের নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন বলে জানিয়েছেন।


পুলিস নজর রাখছে, এই নির্দেশ জারি হওয়ার পরে এর জেরে যাতে কোথাও পথ অবরোধ, কোনও ভাঙচুর বা ওই জাতীয় বিক্ষোভ প্রদর্শনের ঘটনা না ঘটে।


কৃষক আন্দোলন নিয়ে দেশীয় রাজনীতিতে নানা অভিমুখ দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১৬টি বিরোধীদল একযোগে জানিয়ে দিয়েছে, আন্দেলনরত কৃষকদের প্রতি যে মনোভাব কেন্দ্রীয় সরকার দেখাচ্ছে, তার প্রতিবাদে ২৯ জানুয়ারি দুই সংসদ থেকে যে ভাষণ রাষ্ট্রপতি দেবেন তা বয়কট করা হবে।  


প্রচুর পুলিস নেমে পড়েছে এই অভিযানে। অধিকাংশ তাঁবুই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিক্ষোভস্থল থেকে। দিল্লি পুলিস, উত্তর প্রদেশ পুলিস এবং CRPF দখল নিয়ে নিয়েছে এলাকার। RAF-ও নেমেছে। পুরো জায়গার ওপর নজর রাখছে ড্রোন। 


তবে কৃষক নেতা Rakesh Tikait দাবি করেছেন, কোনও ভাবেই তাঁদের বিক্ষোভ থামবে না। যদিও প্রশাসন বিক্ষোভ বন্ধ করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎসংযোগ ও জলের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানান তিনি।


 


Also Read: রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করবে ১৬ বিরোধী দল