কেদারনাথ মন্দিরের চারপাশ এখন `ভূতের ডেরা`, ভয়ে কাজ ছেড়ে পালাচ্ছেন শ্রমিকরা
উত্তরাখণ্ডের মহাপ্রলয়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল দেবভূমি কেদারনাথ। কেদারনাথের মন্দির পূনর্গঠনের কাজে এখন ব্যস্ত শ্রমিকরা। কিন্তু, সেখানেই হয়েছে সমস্যা। তাঁদের দাবি, কেদারনাথ মন্দিরের আশেপাশে নাকি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ২০১৩ সালের বন্যায় মৃত পুণ্যার্থীদের প্রেতাত্মা। ভূতের ভয় শ্রমিকরা কাজ ফেলেই পালাতে চাইছেন।
ওয়েব ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের মহাপ্রলয়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল দেবভূমি কেদারনাথ। কেদারনাথের মন্দির পূনর্গঠনের কাজে এখন ব্যস্ত শ্রমিকরা। কিন্তু, সেখানেই হয়েছে সমস্যা। তাঁদের দাবি, কেদারনাথ মন্দিরের আশেপাশে নাকি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ২০১৩ সালের বন্যায় মৃত পুণ্যার্থীদের প্রেতাত্মা। ভূতের ভয় শ্রমিকরা কাজ ফেলেই পালাতে চাইছেন।
প্রথম, প্রথম কাজকম্ম বেশ তড়তড় করে এগোচ্ছিল। কিন্তু, সমস্যা শুরু হল কিছু দিন কাটতে না কাটতেই। শ্রমিকদের দাবি রাত পোহালেই কেদারনাথ মন্দির সংলগ্ন অঞ্চল 'তেনা'-দের দখলে চলে যায়। এই মুহূর্তে তাই অনেকেই 'চাচা আপন প্রাণ বাঁচা'-র রাস্তা ধরে ফিরতে চাইছেন।
সুদূর নেপাল থেকে কাজের খোঁজে উত্তরাখণ্ডে এসে ছিলেন এক শ্রমিক। কিন্তু এখন ভূতের আতঙ্কে তিনি এতটাই বিধ্বস্ত যে, কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে চান। তাঁর নিজের বয়ান অনুযায়ী, ''বিশেষত রাতের বেলায় যেদিকেই যাই না কেন মনে হয় অশরীরিরা আমাকে ধাওয়া করছে। গায়ে কাঁটা দেয় সারাক্ষণ।''
হাজারেরও বেশি শ্রমিকর এখন কেদারনাথের মন্দির নতুন করে গড়ে তোলার কাজে নিয়োজিত। কিন্তু ভূতের ভয়ে কাজ শিকেয় উঠেছে।
এই মুহূর্তে অদেখা 'না' মানুষদের 'উপস্থিতিই' কাজে অন্যতম প্রধান বাধা। জানিয়েছেন এই কাজের পর্যবেক্ষক অজয় কোঠিয়াল।
নির্মান কর্মীদের ভয় কাটাতে কখনও হ্যালোউইন পার্টি কখনও যাগ-যজ্ঞ, 'শিব-তাণ্ডব'-এর শরণাপন্ন হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।