নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ ‘নিস্তব্ধ’ শ্রীনগরে পৌঁছলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজ়াদ। দেখা করার কথা স্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে। কিন্তু বিমানবন্দরেই থেকে বাধা দেওয়া হল তাঁকে। গুলাম নবি আজ়াদের সঙ্গে ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের কংগ্রেস প্রধান গুলাম আহমেদ মীরও। কড়া নিরাপত্তায় ঢেকে দেওয়া হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরকে। দু’দিন পরেও এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি জম্মু-কাশ্মীর। দোকানপাট-অফিস-স্কুল-কলেজ বন্ধ। ইন্টারনেট ও টেলিফোন পরিষেবাও কার্যত বন্ধ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেখানকার মানুষের দৈনন্দিন জীবনের খবর সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। উদ্বেগে রয়েছে ভিন রাজ্যে থাকা তাঁদের আত্মীয়রা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা আজ়াদ জানান, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের মন খারাপ। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে যাচ্ছি। তাঁর অভিযোগ, সম্ভবত এই প্রথম সব জেলায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। এমন কখনও শোনা গেছে! ভীষণ উদ্বেগের বিষয় বলে জানান তিনি। গতকাল জম্মু-কাশ্মীরে যান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। সেখানকার স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসবে বলে আশ্বস্তও করেন অজিত দোভাল।


আরও পড়ুন- বেতার ভাষণ মোদীর; বিকেল চারটে নাগাদ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী


সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, কমপক্ষে ৪০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদ্দুলা এবং মেহবুবা মুফতিকেও গ্রেফতার করা হয়। কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা রদ করার পরপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা যায়। উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যেই মতবিরোধ দেখা গিয়েছে। জ্যোতিরাদিত্যা সিন্ধিয়া, জনার্ধন দ্বিবেদী, দীপেন্দর হুডা, মিলিন্দ দেওরার মতো কংগ্রেস নেতারা ৩৭০ ধারা রদের পক্ষে সমর্থন করতে দেখা গিয়েছে। এমনকি কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারম্যান সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকেও সরাসরি ৩৭০ ধারা রদের বিরোধিতা করতে দেখা যায়নি। বরং কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।