ভোট হারানোর আশঙ্কায় হিন্দু নেতারা আমায় প্রচারে ডাকেন না: আজাদ
উত্তরপ্রদেশের লখনৌয়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১তম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বুধবার যোগ দেন গুলাম নবি আজাদ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাছে হিন্দু ভোট হারাতে হয়, সেই আশঙ্কায় তাঁকে প্রচারে ডাকেন না দলের হিন্দু নেতারা। এমন মন্তব্য করে বিতর্ক বাঁধালেন কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ।উত্তরপ্রদেশের লখনৌয়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১তম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বুধবার যোগ দেন গুলাম নবি আজাদ। বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করেছিলেন স্যার সৈয়দ আহমেদ খান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে আজাদ দাবি করেন, যুব নেতা হিসেবে দেশজুড়ে প্রচার করেছেন তিনি। বেশিরভাগ নেতাই ছিলেন হিন্দু। আন্দামান নিকোবর থেকে লাক্ষাদ্বীপ পর্যন্ত প্রচার করেছি। ৯৫ শতাংশ হিন্দু ভাই ও নেতা আমায় ডাকতেন। মাত্র ৫ শতাংশই ছিলেন মুসলিম ভাই। সেই প্রেক্ষাপট আমূল বদলে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন আজাদ। তাঁর কথায়,''গত চার বছরে লক্ষ্য করেছি, ৯৫ শতাংশেপ পরিসংখ্যান ২০ শতাংশে ঠেকেছে। তার মানে কোথায় একটা ভুল আছে। আমাকে লোকে প্রচারে ডাকতে ভয় পাচ্ছে। হিন্দু ভোট হারানোর আশঙ্কা করছেন তাঁরা''।
এই পরিস্থিতির জন্য ঘুরিয়ে বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন আজাদ। বোঝাতে চাইলেন, গত চার বছরে দেশবাসীর একাংশের মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আজাদের মন্তব্যে খুশি নয় বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত্ পাত্রের বক্তব্য, কংগ্রেসের অবস্থা পড়তির দিকে, সেজন্য প্রচারের ডাক পাচ্ছেন না আজাদ। সেটা ঢাকার জন্য হিন্দু-মুসলিমের প্রসঙ্গ টানছেন তিনি। এমনকি আজাদ হিন্দুদের অপমান করেছেন বলেও দাবি করেছেন সম্বিত পাত্র। বিজেপি মুখপাত্রের কথায়,''দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার উপরে আঘাত করেছেন আজাদ। আরও একবার হিন্দুদের অপদস্থ করার চেষ্টা করল কংগ্রেস''।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে বিজেপি বদনাম করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন আজাদ। সেই অভিযোগ খারিজ করে সম্বিতের মন্তব্য, সন্ত্রাসবাদীদের জন্য প্রার্থনাসভা হলে নিন্দা হবেই।
রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেসের হিন্দু নেতারাই আজাদকে ডাকছেন না। গুলাম নবি আজাদের এহেন মন্তব্য বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। গুজরাট নির্বাচনের প্রচারপর্বেই নরম হিন্দুত্বের পথে হাঁটতে শুরু করেছেন রাহুল গান্ধী। আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের আগেও মন্দিরে মন্দিরে ঢুঁ মারছেন কংগ্রেস সভাপতি। সম্ভবত কংগ্রেসের এই নয়া কৌশলে খাপ খাচ্ছেন না আজাদ। তাই আপাতত তাঁকে প্রচার থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে দল।
আরও পড়ুন- নেতাজির 'আজাদ' সরকারের স্মৃতিতে লালকেল্লায় তেরঙা উত্তোলন করবেন মোদী