ওয়েব ডেস্ক: ইম্পিরিয়াল কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র জয় লোবো। পছন্দের বিষয় মেশিনস। সারাদিন যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করে মেশিনস-এ টপ স্কোরার জয়। কিন্তু অন্যান্য বিষয়ে জিরো। এমন ছাত্র কলেজের নাম খারাপ করবে তাই প্রিন্সিপালের রোষে পড়ে জয়। শেষ পর্যন্ত ভাইরাসের অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় জয় লোবো। হোস্টেলের জানলা দিয়ে বন্ধুর দেহটা ঝুলতে দেখে ফারহান, রাজু আর র‍্যাঞ্চো।


থ্রি ইডিয়টসের এই দৃশ্যটা প্রায় সাত আট বছর আগের পুরনো। কিন্তু জয় লোবোদের আত্মহত্যা পুরনো নয়। আরও একবার মনে এই ছবিটার ফ্ল্যাশব্যাক ঘটাল কৃতি ত্রিপাঠী। সাধারণত ছাত্র-ছাত্রীরা আত্মহত্যা করে থাকে না পারা, ফেল করা এসব বিষয় থেকে। কিন্তু কৃতি নিজেকে শেষ করে দিয়েছে IIT-JEE এন্ট্রান্সে ভাল মতো পাশ করে গেছে বলে। কেন? ইঞ্জিনিয়ারিংটা কখনই পছন্দ ছিল না ১৭ বছরের মেয়েটার। কিন্তু বাবা-মার ইচ্ছে মেয়েকে ইঞ্জিনিয়ার হতেই হবে। তাই বাড়ি থেকে দূরে ভারতের সেরা কোচিং সেন্টার কোটায় পাঠান কৃতিকে। সেখানে পড়াশোনা করে IITতে পড়ার সুযোগ পেয়ে যায় সে। অগত্যা এবার পড়তেই হবে ইঞ্জিনিয়ারিং। তাই ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পালানোর জন্য পৃথিবী থেকেই পালিয়ে গেল কৃতি। তার বাবা-মার কানে পৌঁছল না, 'Give Me Some Sunshine, Give Me Some Rain/ Give Me Another Chance, Wanna Grow Up Once Again.