Girl dragged by car in Delhi: চাকায় জড়িয়ে পোশাক, দুরন্ত গতিতে তরুণীকে কয়েক কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল গাড়ি
তরুণীর দেহ কয়েক কিলোমিটার ধরে একটি গাড়ি টেনে নিয়ে গেল আর গাড়ির মধ্যে থাকা লোকজন তা টের পেল না? ওই গাড়িতে ছিল ৫ জন। তাদের সবাইকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্তরা জানিয়েছে, গাড়িতে ওই তরুণীর েপাশাক আটকে পড়ার বিষয়টি টেরই পায়নি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভয়ঙ্কর বললেও কম বলা হয়। বর্ষবর্ণের রাতে এমন ঘটনার কথা শুনলে শিউরে উঠতে হয়। রবিবার ভোররাতে দিল্লির সুলতানপুরী এলাকার এক তরুণীর স্কুটির সঙ্গে একটি গাড়ির ধাক্কা লাগে। দুর্ঘটনার পরই কোনওক্রমে ওই তরুণীর পোশাকের অংশ গাড়ির চাকার সঙ্গে জড়িয়ে যায়। এরপর ওই তরুণীকে দুরন্ত গতিতে কয়েক কিলোমিটার টেনে নিয়ে যান গাড়টি। শেষমেষ যখন ওই গাড়িটি পুলিস আটক করে তখন তরুণীরে শরীরে কোনও পোশাক অবশিষ্ট ছিল না। দেহের অধিকাংশ জায়গার মাংস খুবলে বেরিয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-একেই বলে 'রোনাল্ডো এফেক্ট'! রাতারাতি সৌদির ক্লাবের ফলোয়ার্স সংখ্যা ছুঁল আকাশ
পুলিস প্রাথমিকভাব মনে করেছিল ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে। কিন্তু তদন্ত এগোতেই পুরো ঘটনা সামনে আসে। সুলতানপুর পুলিসের দাবি, রবিরার ভোর ৩টে ২৪ নাগাদ একটি ফোন আসে। এক ব্যক্তি বলেন একটি ব্যালেনো গাড়িতে একটি তরুণীকে বেঁধে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওই কলারের ফোনে পাল্টা ফোন করে কুঞ্জাওয়ালা পুলিস জানতে পারে গাড়িটি ধুসর রঙের একটি ব্যালেনো। গাড়ির ব্যাপারে বিস্তারিত জানার পরে এলাকার সব পিসিআর ভ্যানকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়। ভোর ৪টে ১১ মিনিটে একটি পিসিআর ভ্যান থেকে এক তরুণীর মৃতদেহ পাওয়ার খবর আসে। কুঞ্জাওয়ালায় আটক করা হয় ওই গাড়িটিকে।
একটি তরুণীর দেহ কয়েক কিলোমিটার ধরে একটি গাড়ি টেনে নিয়ে গেল আর গাড়ির মধ্যে থাকা লোকজন তা টের পেল না? ওই গাড়িতে ছিল ৫ জন। তাদের সবাইকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্তরা জানিয়েছে, গাড়িতে ওই তরুণীর েপাশাক আটকে পড়ার বিষয়টি টেরই পায়নি। কিন্তু এর পেছনে ওই তরুণীর সঙ্গে ওইসব লোকজনের কোনও সংঘাত হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান সাথী মালিওয়াল। একটি টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, দিল্লির কুঞ্জাওয়ালায় এক তরুণীর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। তার পোশাক একটি গাড়িতে আটকে যাওয়ার পর তাকে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এটি অত্যান্ত ভয়ঙ্কর ঘটনা। বিষয়টি দিল্লি পুলিসের কাছে জানতে চেয়েছি। সত্যিটা বেরিয়ে আসা দরকার।