নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বাধীনতা দিবস থেকে গোয়ার সমুদ্রতটে নিষিদ্ধ হল মদ্যপান। গত মাসে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকর ঘোষণা করেছিলেন, স্বাধীনতা দিবস থেকে বন্ধ হবে সমুদ্রতটে মদ্যপান। কেউ আইন ভাঙলেই দিতে হবে জরিমানা। যদিও জরিমানা অঙ্ক এখনও জানা যায়নি। বিয়ার খেয়ে ফুটপাথেই পড়ে থাকছেন অনেকে। আর সে জন্য প্রকাশ্যে মদ্যপান নিষিদ্ধ করা হল। পর্রীকরের কথায়, নাগরিক সচেতনতা বাড়াতে হবে সাধারণ মানুষকে।          


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেশ ও বিদেশের শিল্পপতিদের কাছে আমোদপ্রমোদের অন্যতম গন্তব্য গোয়া। সেখানকার সমুদ্রতটে নিশ্চিন্তে মদ্যপান করা যেত। তবে তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় মনোহর পর্রীকরের সরকার। ১৫ অগস্ট থেকেই বলবত্ হচ্ছে এই নিষেধাজ্ঞা। ১৫ অগস্ট থেকে সমুদ্রতটে মদ্যপান করলে দিতে হবে জরিমানা।


পর্তুগিজ সাম্রাজ্যের অংশ ছিল গোয়া। সেখানকার রীতিনীতি অনেকটাই পাশ্চাত্য ঘেঁষা। সে রাজ্যে প্রকাশ্যে মদ্যপান স্বাভাবিক ব্যাপার। বিদেশিরা পর্যটকরাও আনন্দ করার জন্য মদ্যপান করেন। গোটা রাজ্যে প্রচুর পাব ও বারও রয়েছে। ফলে তাদের ব্যবসায় থাকছে লোকসানের আশঙ্কা। শুধুমাত্র উত্পাদনের উপরে থাকায় সস্তায় মদ পাওয়া যায় এখানে। 


সুন্দর সমুদ্রতটের সঙ্গে মদ গোয়ার আকর্ষণ। তবে কেন মদ্যপানের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হল? জানা গিয়েছে, মদ্যপান করে অনেকের জলে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মদ খাওয়ার পর বোতল সমুদ্রতটেই ফেলে দেন পর্যটকরা। মদ্যপান করে অন্যদের বিরক্ত করার ঘটনাও কম নয়। এসব কারণে সমুদ্রতটে মদ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গোয়া সরকার। তার জেরে ১৫ অগস্ট থেকেই মদ খেয়ে আর হুল্লোড় করতে পারবেন না পর্যটকরা। ধরা পড়লেই দিতে হবে জরিমানা। ১০০ থেকে ২৫০০০ টাকার মধ্যে জরিমানা দিতে হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।    


 গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকর বলেন, ''প্রতিদিনই রাস্তা পরিষ্কার করতে হয়। প্রতিদিনই দেখি পাঞ্জির নদীতে ফুল ছিঁড়ে জলে ফেলা হয়েছে। ফুটপাথে মদ্যপান করে পড়ে রয়েছেন মাদতাসক্তরা। নাগরিকদের আরও সচেতন হতে হবে। ধর্মের নামে যা কিছু করা যাবে না''।  


সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি গোয়াবাসী। এর পাশাপাশি পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে আসা পর্যটকরাও সন্তোষপ্রকাশ করেছেন। প্রকাশ্যে মদ নিষিদ্ধ করা ছাড়াও মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে শুরু করে দিয়েছে গোয়ার ট্রাফিক পুলিস।


আরও পড়ুন- অমিতের হাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল তেরঙা; জানেন না জাতীয় সংগীতের রীতি, দাবি কংগ্রেসের