শিশুমৃত্যু নিয়ে মিথ্যে বলছেন আদিত্যনাথ, দাবি গোরক্ষপুর হাসপাতালের চিকিত্সক কাফিল খানের
গোরক্ষপুর হাসপাতালে শিশুমৃত্যু নিয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল তথ্য দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সোমবার এভাবেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন গোরক্ষপুরের বিআইডি হাসপাতালের চিকিত্সক কাফিল খান।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গোরক্ষপুর হাসপাতালে শিশুমৃত্যু নিয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল তথ্য দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সোমবার এভাবেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন গোরক্ষপুরের বিআইডি হাসপাতালের চিকিত্সক কাফিল খান।
রবিবার লখনউতে এক সভায় যোগী বলেন, ২০১৭ সালের অগাস্টে গোরক্ষপুরের বিআরডি হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর অক্সিজেনের অভাবের কারণে হয়নি। এক সপ্তাহে ৭৬ জন শিশুর মৃত্যুর পিছনে ছিল হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি। সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে কাফিল খান বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন তা অসত্য। হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব ছিল। টাকা চেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন অক্সিজেন সরবরাহকারী।'
গত বছর অগাস্টে গোরক্ষপুরের বিআরডি হাসপাতালে শিশুমৃত্যু নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় পড়ে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার কয়েক মাসের মধ্যে এই ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়েন যোগী আদিত্যনাথ। অভিযোগ ওঠে, হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে এত শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত নির্দেশ দেয় উত্তর প্রদেশ সরকার। এর পরই গ্রেফতার করা হয় ওই হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিত্সক কাফিল খানকে। অভিযোগ ওঠে, হাসপাতালের অক্সিজেন সিলিন্ডার নিজের নার্সিংহোমে সরিয়েছিলেন ওই চিকিত্সক। বেশ কয়েকমাস বিচারাধীন অবস্থায় বন্দি থাকার পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন কাফিল খান।
বোর্ড গঠনে জেলায় জেলায় অশান্তিতে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ মন্ত্রীদের
প্রসঙ্গত, রবিবার লখনউতে এক সভায় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন বিআরডি হাসপাতালে অক্সিজেনের কোনও অভাব ছিল না। অক্সিজেনের অভাব থাকলে সবার আগে আইসিইউতে থাকা শিশুদের মৃত্যু হত। হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর কারণ অভ্যন্তরীণ রাজনীতি।