নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতীয় রাজনীতির আঙিনার আরও এক ইন্দ্রপতন। প্রয়াত জর্জ ফার্নান্ডেজ। মঙ্গলবার সকালে তিনি প্রয়াত হন। প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৮।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। পার্কিনসন ও অ্যালঝাইমার্সেও আক্রান্ত ছিলেন তিনি। সম্প্রতি সোয়াইন ফ্লুতেও আক্রান্ত হন বাজপেয়ী সরকারের প্রাক্তন এই মন্ত্রী।


তার পরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে ওই হাসপাতালেই তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে শেষ হল ভারতীয় রাজনীতির একটি বর্ণময় অধ্যায়।


আরও পড়ুন: উত্তর প্রদেশে ফের পুলিসের মৃত্যু এনকাউন্টারে, ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা যোগীর


১৯৩০ সালের ৩ জুন ম্যাঙ্গালোরে জন্ম জর্জ ফার্নান্ডেজের। ১৯৫০-এর পর থেকে তিনি ক্রমশ একজন শ্রমিক নেতা হিসেবে প্রচারের আলোয় চলে আসেন। বম্বেতে (এখন মুম্বই) তাঁর নেতৃত্বে একাধিক বনধও হয়েছে।


১৯৬৭ সালে তাঁর সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ। কংগ্রেসের এসকে পাটিলকে হারিয়ে দক্ষিণ বম্বে লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হন। ১৯৭৪ সালে রেল ধর্মঘটের নেতৃত্বে তিনিই ছিলেন। তিনি তখন অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে মেনস ফেডারেশনের সভাপতি।



জরুরি অবস্থার সময় তিনি গা-ঢাকা দিয়েছিলেন। তবে ১৯৭৬ সালে তিনি বরোদা ডিনামাইট মামলায় তিনি গ্রেফতার হন। জরুরি অবস্থার পর তিনি বিহারের মজফ্ফরপুর থেকে সাংসদ হন। কেন্দ্রীয় শিল্পমন্ত্রী হন। তিনি বিনিয়োগ সংক্রান্ত গোলমালের জেরে মার্কিন সংস্থা আইবিএম ও কোকা-কোলাকে দেশ থেকে চলে যেতে বলেছিলেন।


আরও পড়ুন: গরিবদের মাসিক আয়ের ব্যবস্থা, ইন্দিরার পথে গরিবি হঠাওয়ের প্রতিশ্রুতি রাহুলের


১৮৮৯ থেকে ১৯৯০ তিনি ছিলেন রেলমন্ত্রী। মূলত তাঁর উদ্যোগেই কোঙ্কন রেলওয়ের পথচলা শুরু। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে তিনি ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সেই সময় কার্গিল যুদ্ধ হয়েছে। তাঁর আমলেই পোখরানে পরমাণু পরীক্ষা হয়।


লোকসভায় ন'বারের সাংসদ জর্জফার্নান্ডেজ সমতা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তিনি জনতা দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। ২০০৯-২০১০ এক বছরের জন্য তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সাল থেকে দীর্ঘদিন তিনি ছিলেন এনডিএ-র আহ্বায়ক।



মন্ত্রিত্বে থাকাকালীন তিনি দু'বার বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম তেহলকা কাণ্ড। যে স্টিং অপারেশন ২০০১ সালে হইচই ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশে। এর পর বারাক মিসাইল কাণ্ডেও তাঁর নাম জড়ায়। সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর-ও করেছিল।