নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা চেয়ে  #ResignModi হ্যাশট্যাগ সরকারের নির্দেশে ফেসবুক মুছে দিতে বাধ্য হয় বলে দাবি করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তা সরাসরি নস্যাৎ করে কেন্দ্র জানিয়ে দিল, ফেসবুককে এই ধরনের নির্দেশ দেওয়া হয়নি। প্রতিবেদনটি বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।          


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল দেশ। এই সঙ্কট মোকাবিলায় মোদী সরকার ব্যর্থ বলে সুর চড়িয়েছে নেটিজেনদের একাংশ। প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করে  #ResignModi হ্যাশট্যাগে প্রতিবাদ শুরু হয় ফেসবুক ও টুইটারে। ওই হ্যাশট্যাগ সংক্রান্ত পোস্ট সরিয়ে দেয় ফেসবুক। ঘটনার পর বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নেটিজেনরা। ফেসবুক জানায়, এটা ভুলবশত ঘটেছে। কিন্তু, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল 'Facebook Blocks, Then Restores, Content Calling on Indian Prime Minister Modi to Resign' শীর্ষক প্রতিবেদনে দাবি করেছে,''বিরোধী কণ্ঠকে রোধ করতে চাইছে ভারত সরকার।''


বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে,'ফেসবুকে একটি হ্যাশট্যাগ সরানোয় বিরুদ্ধ মতকে দমন করা হচ্ছে বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনটি বিভ্রান্তিকর তথ্যে ভরা ও  উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সরকার হ্যাশট্যাগটি মুছে ফেলতে কোনও নির্দেশ দেয়নি। ভুলের ব্যাখ্যা ফেসবুকও। 


গত ৫ মার্চ ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি 'ভুয়ো প্রতিবেদন'কেও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৫ মার্চ  'India Threatens Jail for Facebook, WhatsApp and Twitter Employees' শীর্ষক ভুয়ো খবর প্রকাশ করেছিল ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। ভুয়ো প্রতিবেদনটি নস্যাৎ করে জবাব পাঠিয়েছিল সরকার। সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে কেন্দ্র বলেছে,''অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন  প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধা ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। সেই উদ্যোগকে আরও ছড়িয়ে দিতে পারে সংবাদ মাধ্যম। এই সঙ্কটকালে কোটি কোটি সাধারণ ভারতীয়র লড়াইয়ে সামিল হতে আবেদন করছি।'' 


এনিয়ে ফেসবুকের (Facebook) মুখপাত্র ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন,'ভুলবশত হ্যাশট্যাগটি মুছে দেওয়া হয়। তবে সেটা সাময়িক। পরে তা সংশোধন করা হয়েছে। ভারত সরকারের তরফে কোনও নির্দেশ আসেনি। 


আরও পড়ুন- তুঙ্গে সংক্রমণ; মোবাইল Switched Off করে বেপাত্তা ৩০০০ করোনা রোগী, ঘুম ছুটল পুলিসের