নিজস্ব প্রতিবেদন- বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে এগোতে পারেন দেশের কৃষকরা। আপাতত পরিস্থিতি সেদিকেই এগোচ্ছে। সরকারের তরফে বিভিন্ন উপায়ে কৃষকদের বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে হিন্দিতে ইস্তেহারও প্রকাশ করা হয়েছে। যাতে কৃষকরা কৃষি বিলের ভাল দিকগুলি সম্পর্কে বুঝতে পারেন! এমনকী কৃষি বিল নিয়ে বিরোধীরা দেশের কৃষকরা ভুলভাল বোঝাচ্ছে বলেও দাবি করেছে সরকার। তবে কৃষকরা অনড়। তাঁদের দাবি, যেভাবেই হোক নতুন তিনটি কৃষি আইন সরকারকে প্রত্যাহার করতে হবে। এদিকে, সরকারও নাছোড়বান্দা। ফলে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিল্লির সীমানায় কৃষকরা অবস্থান বিক্ষোভে রয়েছেন। প্রায় ১৫ দিন হতে চলল তাদের আন্দোলন। কৃষি মন্ত্রক একাধিকবার কৃষকদের সঙ্গে বসে প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু কৃষকরা বরাবর সরকারের থেকে হ্যাঁ বা না শুনতে চেয়েছেন। ইতিমধ্যে সংযুক্ত কৃষি মোর্চা সরকারের প্রস্তাব ফিরিয়েছে। ফলে যা জানা যাচ্ছে, সরকারের তরফে আর কোনও প্রস্তাব কৃষকদের কাছে যাবে না। কৃষি মন্ত্রক এবার কৃষকদের কোর্টে বল ঠেলছে। ফলে কৃষকদের এবার পরবর্তী পদফেপ ঠিক করে ফেলতে হবে। জানা যাচ্ছে, আজ দুপুরে একাধিক কৃষক সংগঠন আলোচনায় বসবে। তার পর আন্দোলনের পরবর্তী গতিবিধি ঠিক করা হবে।


আরও পড়ুন-  ঠিক আছেন তো? নাড্ডা ও কৈলাসের খোঁজ নিলেন মোদী


একদল কৃষক বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। তাদের আটকায় পুলিস। রামপুরের কাছে সেই কৃষকরা হাইওয়ের উপরই রাত কাটান। এর পর তারা নিকটবর্তী এলাকায় ধর্নায় বসে পড়েন। কৃষকদের সেই দলের একজন নেতাও ঝ দুপুরের আলোচনা সভায় থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে আন্দোলন যে ১৫ ডিসেম্বরের পরও চলবে তা এখন স্পষ্ট। যদিও কৃষক সংগঠনগুলির তরফে সাফ জানানো হয়েছে, সরকার তাদের দাবি না মানলে অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। এখন দেখার সেই বিক্ষোভের আগুন কতদিন জ্বলে! সরকার কি নতুন করে ভাবতে বসবে!