নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা জানান, এই মুহূর্তে ৩৫-এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না কেন্দ্র। যদিও, জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, রাজ্যপাল শেষ কথা নন, শেষ কথা বলবে কেন্দ্র। তাই সংসদে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে কেন্দ্রের কাছ থেকে বিবৃতির দাবি করলেন ওমর আবদ্দুলা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে ওমর আবদ্দুলা জানান, সোমবার অধিবেশন বসতেই কেন্দ্রের কাছ থেকে কাশ্মীর বিষয়ে বিবৃতির দাবি জানাবে তাঁদের সাংসদ। আবদ্দুলা প্রশ্ন তোলেন, হঠাত্ কাশ্মীরে সেনা বাড়ানো এবং অমরনাথ যাত্রা মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হল কেন? কাশ্মীরবাসীদের মনে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, বরাভয় দিয়ে কেন্দ্রের সমস্যা সমাধান করা উচিত।


আরও পড়ুন- ছত্তীসগড়ের রাজনন্দগাঁওয়ে গুলির লড়াইয়ে নিহত ৩ মহিলা–সহ ৭ মাওবাদী


উল্লেখ্য, গত ১ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের সুপ্রিমো তথা শ্রীনগরের সাংসদ ফারুক আবদ্দুলা। সঙ্গে ওমর আবদ্দুলা এবং অনন্তনাগের সাংসদ হাসনেইন মাসুদি। ওই দিন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানান, ৩৫-এ নিয়ে পদক্ষেপ করার কোনও চিন্তাভাবনা নেই সরকারের। এখন লক্ষ্য জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচন করানো। এই মুহূর্তে যে শান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, এই পরিস্থিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে কেন্দ্র বদ্ধপরিকর বলে ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী।   


গতকাল সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিস যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে জানায়, বড়সড় হামলার ছক কষছে জঙ্গিরা। এর পিছনে প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে পাক সেনার। অমরনাথ যাত্রা রুটে পাওয়া গিয়েছে ল্যান্ডমাইন এবং পাক সেনার ব্যবহৃত টেলিস্কোপ যুক্ত এম-২৪ স্নাইপার রাইফেল। এর পরই তড়িঘড়ি পুণ্যার্থী এবং পর্যটকদের ফিরে আসার জন্য ‘অ্যাডভাইজ়রি’ জারি করা হয় রাজ্য প্রশাসনের তরফে। আগামী ১৫ অগস্ট শেষ হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। কিন্তু তার আগেই এভাবে তড়িঘড়ি উপত্যাকা খালি করার নির্দেশে আতঙ্ক তৈরি হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।