নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ থেকেই সরকারি কাজকর্ম স্বাভাবিক করতে শ্রীনগরের সচিবালয়কে নির্দেশ দিলেন গভর্নর সত্য পাল মালিক। তবে, সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার থেকে স্কুল, কলেজ-সহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান খুলতে পারে। আজ সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর স্বাভাবিক হতে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। তবে, ঠিক কত দিন, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল বলতে পারেননি না। জম্মু-কাশ্মীরের স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক আর্জি করেছিলেন, সাংবাদিকদের অন্তত অবাধে খবর সংগ্রহ করতে দেওয়া হোক সেখানে। তাঁর অভিযোগ, ইন্টারনেট, মোবাইল পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ রাখায় খবর সংগ্রহে ব্যাহত হচ্ছে। কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রবেশে বাধা দিচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীরা। যদিও, সুপ্রিম কোর্টে বেণুগোপালের দাবি, কাশ্মীরের বাস্তব পরিস্থিতি প্রতিদিন জানানো হচ্ছে এবং সরকারি সংস্থার উপর বিশ্বাস রাখতেই হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কে কে বেণুগোপাল এ প্রসঙ্গে বলেন, জম্মুতে বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় সেখান থেকে প্রকাশিত হচ্ছে খবরের কাগজ। শ্রীনগরে এখনও পর্যন্ত শুরু হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের কাছে তিনি জানান, জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। উল্লেখ্য, স্বাধীনতার একদিন আগে জম্মুতে সবধরনের বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়। তবে, কাশ্মীরে আঁটাসাঁটো নিরাপত্তা বহাল রয়েছে।


আরও পড়ুন- আধারের সঙ্গে লিঙ্ক করতে হবে ভোটার আইডি কার্ড! আইন মন্ত্রকে চিঠি নির্বাচন কমিশনের


গত ৪ অগস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। তার সপ্তাহ খানেক আগে থেকে মোট ৩৫ হাজার আধা সেনা মোতায়েন করা হয় সেখানে। এই পদক্ষেপে জল্পনা তৈরি হয়, তা হলে কি জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র। প্রকাশ্যে সরকারিভাবে কোনও বিবৃতি না দেওয়া হলেও জঙ্গি আশঙ্কা করে হঠাত্ই অমরনাথ যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া, পর্যটকদের ফেরত্ পাঠানো, এসবের মধ্যে চরম উত্তেজনা তৈরি হয় স্থানীয় মানুষের মধ্যে। তবে, সেই জল্পনা সত্যি হয় গত ৫ অগস্টে। অনুচ্ছেদ ৩৭০ এবং ৩৫এ বিলোপে রাষ্ট্রপতির সিলমোহর এবং সংসদের উভয় কক্ষে অতি সহজেই তা পাশ করিয়ে নেয় কেন্দ্র।