আর্থিক জালিয়াতি করে বিদেশে পালিয়ে বাঁচার পথ বন্ধ করতে কড়া আইন আনছে কেন্দ্র
নতুন এই বিল অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি যদি কোনও আর্থিক অপরাধ করে বিদেশে পালিয়ে যায়, সেক্ষেত্রে তাকে পলাতক আর্থিক অপরাধী বলে গণ্য করা হবে। ঋণ খেলাপি, আর্থিক জালিয়াতি, কর ফাঁকি, নথি জাল, লগ্নিকারীদের টাকা ফেরত না দেওয়া-সহ একাধিক বিষয় থাকছে নতুন এই আইনের আওতায়
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজয় মালিয়া, ললিত মোদী থেকে নীরব মোদী। কোটি কোটি টাকা জালিয়াতি করে এখন দেশ ছাড়া একাধিক ব্যবসায়ী। এদের দেশে ফেরাতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থাগুলির। অন্যদিকে, বিদেশে বহাল তবিয়তে দিন কাটাচ্ছে তারা। তাই এই ধরনের আর্থিক অপরাধীদের বাগে আনতে নতুন আইন আনছে কেন্দ্র।
নতুন এই আইন অনুযায়ী, আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্তদের দেশে ফেরানো না গেলে, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বকেয়া অর্থ উদ্ধার করতে পারবে সরকার। সম্ভবত আগামী মার্চেই সংসদের অধিবেশনে পেশ করা হবে ‘দ্যা ফিউজিটিভ ইকোনমিক অফেন্ডার্স বিল’ নামের এই বিলটি। ইতিমধ্যে ওই বিলের খসড়া প্রকাশ করে সব দলের মতামত চাওয়া হয়েছে।
নতুন এই বিল অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি যদি কোনও আর্থিক অপরাধ করে বিদেশে পালিয়ে যায়, সেক্ষেত্রে তাকে পলাতক আর্থিক অপরাধী বলে গণ্য করা হবে। ঋণ খেলাপি, আর্থিক জালিয়াতি, কর ফাঁকি, নথি জাল, লগ্নিকারীদের টাকা ফেরত না দেওয়া-সহ একাধিক বিষয় থাকছে নতুন এই আইনের আওতায়। তবে কেলেঙ্কারির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা বা তার বেশি হলে, কেবল তখনই তা ‘দ্যা ফিউজিটিভ ইকোনমিক অফেন্ডার্স বিল’-এর আওতায় পড়বে।
আরও পড়ুন- লরেটো কলেজের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
নতুন আইনে দুর্নীতিকারীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অধিকার দেওয়া হয়েছে তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে। অর্থাৎ এনিয়ে আর আদালতের জটিল আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে না তদন্তকারী সংস্থাকে।
উল্লেখ্য, ৯০০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে এখন ব্রিটেনে আশ্রয় নিয়েছেন বিজয় মালিয়া। পাশাপাশি একেবারে টাটকা, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে ১১,৪০০ কোটি টাকা ঋণ করে বিদেশে চলে গিয়েছেন হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী ও মেহুল চোকসি। এবার এই আইনের ফলে প্রবল বিপাকে পড়বেন দুর্নীতিতে যুক্ত এইসব ব্যবসায়ীরা।