ওয়েব ডেস্ক: পদার্থবিদ্যা ও মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী আবিষ্কার। ১০০ বছর পর প্রমাণিত হল আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব একশভাগ সঠিক। ১৪০০ কোটি বছর আগে ঘটে যাওয়া বিগ ব্যাং-এর পর সৃষ্টি হয়েছিল উত্তাল মহাকর্ষীয় তরঙ্গমালার। চোখে দেখা না গেলেও, বাস্তবে অস্তিত্ব রয়েছে সেই মহাকর্ষীয় তরঙ্গের। গাণিতিকভাবে প্রমাণ করেছিলেন আইনস্টাইন। শেষ পর্যন্ত বাস্তবে প্রমাণ পাওয়া গেল সেই মহাকর্ষী তরঙ্গের। ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর  মহাকর্ষীয় তরঙ্গ পৌছেছে পৃথিবীতে। ১৩০ কোটি বছর আগে দুটি কৃষ্ণ গহ্বরের সংঘর্ষের সময় যে  তরঙ্গের সৃষ্টি হয়েছিল, সেই তরঙ্গই এসে পৌছেছে পৃথিবীতে। প্রমাণ পেয়েছেন দুজন মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানী। সেকথাই বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে ঘোষণা করেছেন মার্কিন ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর। পুনে, ওয়াশিংটন এবং ইতালি থেকে একসঙ্গে ঘোষণা করা হয় এই আবিষ্কারের বিষয়টি। তাতেই বলা হয়েছে, মহাকর্ষীয় তরঙ্গের যে গানিতিক পূর্বাভাস দিয়েছিলেন আইনস্টাইন, তা এখন প্রমাণিত।  মহাকাশ বিজ্ঞানের জগতে এই দুনিয়া কাঁপানো  আবিষ্কারের প্রকল্পে ভূমিকা ছিল ভারতীয় বিজ্ঞানীদেরও। সেকারণে তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এর ফলে সম্পূর্ণ বদলে যাবে মহাকাশ বিজ্ঞানের চর্চা ও গবেষণার ধারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মহাকর্ষীয় তরঙ্গ আবিষ্কারে যুক্ত ভারতীয় বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে মোদী লিখেছেন, এই মহান আবিষ্কারের পিছনে  ভারতীয় বিজ্ঞানীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এজন্য  আমি গর্বিত। মহাকর্ষীয় তরঙ্গের এই ঐতিহাসিক আবিষ্কার মহাবিশ্বের অনেক অজানা দিক উন্মোচন করবে।  আশা করি আগামীদিনেও মহাকর্ষীয় তরঙ্গ চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা আরও বড় ভূমিকা পালন করবেন।