কমলিকা সেনগুপ্ত: চোখ ধাঁধানো হিরের কারুকার্য এবং উত্কৃষ্ট মানের বস্ত্রশিল্পের জন্যই সুরাট পরিচিতি। নোটবন্দি, জিএসটি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক পদক্ষেপে কতটা সামলে উঠেছে আরব সাগরের তটে গড়ে ওঠা গুজরাটের এই অন্যতম বাণিজ্যিক শহর? ভোটের হাওয়ায় কি বোলচাল  সুরাটের? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই একেবারে মোদীর রাজ্যে গ্রাউন্ড জিরোতে পৌঁছিয়ে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টা ডট কম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপির নির্বাচনী প্রচারে জিএসটি বা নোটবন্দির প্রভাবকে তেমন আমল না দেওয়া হলেও, সুরাটের পথঘাট বলছে অন্য কথা। খোদ বিজেপি বিধায়ক এবং সমর্থকদের মুখে এখন জিএসটির ধাক্কা নিয়ে সংশয় ফুটে উঠেছে। এরমধ্যে অনেকেই কার্যত মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন প্রাথমিকভাবে জিএসটি সুরাটের বাণিজ্যিক মহলকে নাড়া দিয়েছে।



আরও পড়ুন- গুজরাটে বিজেপির সঙ্গে জোর টক্কর বিজেপির, বলছে জনমত সমীক্ষা


আগামী ৯ ডিসেম্বর অর্থাত্ গুজরাট ভোটের প্রথম দফায় সুরাটের নির্বাচন। ফলে, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে সব রাজনৈতিক দলই। সুরাট জুড়ে মোদীর নোটবন্দি, জিএসটিকেই নির্বাচনের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছেন বিজেপি নেতারা। তবে, বেশ সুকৌশলে জিএসটি সুফল তুলে ধরতে মরিয়া তাঁরা। বিজেপি বিধায়ক এবং এবারে সুরাট জেলার কথরগাম বিধানসভার বিজেপি পদপ্রার্থী বিনুভাই মোরাইয়া  বলেন, "নোটবন্দির প্রভাব পড়েনি এখানে। মোদীজি দেশের জন্য যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এখানকার মানুষ উত্সাহের সঙ্গে তা গ্রহণ করেছেন।" যদিও সেই বিধায়ক প্রাথমিক পর্যায়ে জিএসটির অসুবিধা মেনে নিয়ে বলেন, "হ্যাঁ, জিএসটিতে সাময়িক অসুবিধা হয়েছে সাধারণের, তবে দেশের জন্য সেই সমস্যা ভুগতে অসুবিধা নেই।" আর এক বিজেপি নেতার কথায়, "যেসব ব্যবসায়ীরা আগে ট্যাক্স আওতায় ছিল না, তারাই প্রাথমিকভাবে অসুবিধায় পড়েছেন।" গুজরাট সাবইকে নিয়ে 'বিকাশে'র পথে এগোচ্ছে বলে দাবি ওই বিজেপি নেতার।



আরও পড়ুন- মনমোহিনী বার্তা: রাহুল কংগ্রেসের 'ডার্লিং', সবার নেতা হয়ে উঠছনে 'যুবরাজ'! 


জিএসটি চালু হওয়ার পর গুজরাটের বস্ত্রশিল্পে যে রীতিমত প্রভাব পড়েছে, তা পরবর্তী কালে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট।  গুজরাট নির্বাচনের প্রক্কালে বেশ কিছু পণ্যের শুল্কও কমানো হয়েছে। গুজরাটের ব্যবসায়ীদের পকেটে রাখতেই বিজেপি সরকারের ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।এখন জিএসটি প্রশ্নে কী উত্তর দেবে, তারই আলাদা হোমওয়ার্ক করছে বিজেপি নেতারা।