নিজস্ব প্রতিবেদন: পণ্য পরিষেবা কর নিয়ে দেশের ব্যবসায়ী মহলের একাংশের আপত্তি রয়েছে। বিরোধীরাও জিএসটি নিয়ে সরব হয়েছিল সরকারের বিরুদ্ধে। এবার এনিয়ে মন্তব্য করল আইএমএফ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জিএসটি-কে ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বলেও এর কর কাঠামো নিয়ে সন্তুষ্ট নয় আইএমএফ। সংস্থার পক্ষ থেকে তার বাৎসরিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, জিএসটির ‌যে হার ধা‌র্য করা হয়েছে তা আরও সরল করা উচিত। কারণ জিএসটির হার বিভিন্ন রকম হওয়ার ফলে এটি বেশ জটিলতা তৈরি করছে। এর ফলে সরকারের খরচও বাড়ছে।


উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে দেশে চালু করা হয় পণ্য পরিষেবা কর বা জিএসটি। আইএমএফ জানিয়েছে, জিএসটি চালু করে করকাঠামোর একটা ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করেছ ভারত। তবে জিএসটি চালু করার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি দামি পণ্যের দাম অনেকটাই কমেছে। এই ব্যবস্থা বদল করে সরল করা প্রয়োজন।


আরও পড়ুন-মুরগির খাঁচায় মরণফাঁদ, খেলতে গিয়ে মৃত্যু ২ বছরের শিশুর


প্রঙ্গগত, জিএসটি চালু হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে বহু বিতর্ক হয়েছে। তবে সরকারের বক্তব্য, ভোগ্যপণ্য ও অত্যাবর্ষকীয় পণের ওপরে কর একই হতে পারে না। এনিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও। বর্তমানে জিএসটির ‌যে হার চালু রয়েছে সেখানে ১২-২৮ শতাংশ প‌র্যন্ত কর চাপনো হয়েছে। গহনা ও রত্নের ওপরে ৩ শতাংশ কর ধা‌র্য করা হয়েছে।


এদিকে, জিএসটি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বিভিন্ন মহল। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছে জিএসটি জুড়েই এমআরপি ধ‌া‌র্য করা হোক। এতে করের জটিলতা কমবে। কারণ এমআরপি-ই হল কোনও পণ্যের সর্বোচ্চ মূল। তার ওপরে নতুন করে কর বসানো উচিত নয়।


আরও পড়ুন-মারিনা বিচেই নাকি অন্য কোথাও, করুণানিধির শেষকৃত্য নিয়ে আইনি জটিলতা তুঙ্গে


অন্যদিকে, পেট্রোল-ডিজেলের মতো অত্যাবর্ষকীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। তাই পেট্রোপণ্যের ওপরে জিএসটি বসানো হোক। এমনটাই দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। গত ২২ মে ইন্ডিয়ান অয়েলও এনিয়ে জোর সওয়াল করেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে এদিন আইওসির চেয়ারম্যান সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করার কোনও নির্দেশ আমাদের দেওয়া হয়নি। কিন্তু তেলের দাম এতটাই বাড়ছিল ‌যে টানা ১৯ দিন তেলের দাম রোজ নির্ধারণ করা থামিয়ে রাখা হয়। সব পেট্রোপণ্য জিএসটির আওতায় আনা উচিত।’