নিজস্ব প্রতিবেদন: যে বুথে এক সময় সাধারণ কর্মী হিসাবে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতেন, আজ সেখানেই ভোট দিলেন তিনি। তবে সাধারণ কর্মী হিসাবে নয়, গৈরিক সংগঠনের টপ বস হয়ে। গুজরাটের নারানপুরা কেন্দ্রেই একদা বুথ ম্যানেজার হয়ে রাজনৈতিক কেরিয়ারের সূচনা অমিত বাইয়ের। আর আজ বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি হয়ে সেই বুথেই ভোটদান করলেন অমিত শাহ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সোনাল ও ছেলে জয় শাহ। উল্লেখ্য, ভোটপ্রচারে অমিতপুত্র জয় শাহের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আটের দশকে বিজেপির হয়ে বুথ সামলাতেন অমিত শাহ। দলের সমর্থকদের ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে আসাই ছিল তাঁর কাজ। পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে কোনও নিয়মভঙ্গ হলে তা পোলিং অফিসারের নজরেও আনতেন তিনি। সে সময় অমিত শাহের সঙ্গে একই কাজ করতেন জগদীশ দেশাই। স্মৃতির সরণি বেয়ে আজ তিনি বলেন, ''২৫ বছর আগে অমিতভাই আর আমি এই কাজ করতাম। বুথ পিছু বিজেপির ৭৫০-৯০০ ভোটারকে আমরা নিয়ে আসতাম।'' দলের কাজে অমিতের অসাধারণ আন্তরিকতা এবং কৌশলী পদক্ষেপই পরবর্তীকালে জগদীশ দেশাইদের সঙ্গে ফরাক গড়ে দেয় অমিত শাহের। ধীরে ধীরে ধাপ বেয়ে আজ তিনি বিজেপি সংগঠনের শিখরে।


আরও পড়ুন- জি নিউজের সুপার এক্সিট পোলে বিজেপির জয়জয়কার


তবে, অমিতের এই উত্থান নিয়েও কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। পদ্ম শিবিরের বক্তব্য, কংগ্রেসের সঙ্গে এটাই ফারাক তাদের, বিজেপিতে তৃণমূলস্তর থেকে সর্বভারতীয় নেতা হওয়া যায়। সম্প্রতিককালে কংগ্রেস সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাহুলের নির্বাচনের আবহে বিজেপিতে অমিতের এই উত্থান শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দলটির কাছে সত্যিই অস্বস্তিকর, বলছে পর্যবেক্ষকদের একাংশ।