কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভোটের আগে অস্থায়ী অফিস যেমন হয়, তার চেয়ে অনেক আলাদা গুজরাটে বিজেপির ওয়্যার রুম। সেখানে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কম্পিউটারেই চলছে যাবতীয় কাজকর্ম। এবারই রাজকোট পশ্চিমে বেকায়দায় পড়েছে বিজেপি। বিজয় রূপানিকে জেতাতে সর্বশক্তি লাগিয়ে দিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। আর হবে নাই বা কেন! রাজকোট পশ্চিমের মতো নিরাপদ আসনেও  'সুরক্ষিত' নন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী।     
  
নির্বাচনের আগে বিজেপির ওয়্যার রুম ধনকুবেরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন বিজয় রূপানি। রাজকোট পশ্চিম কেন্দ্রটি বিজেপির দুর্গ বলা হলেও কম। ১৯৮৫ সাল থেকে এই কেন্দ্র গেরুয়া শিবিরের দখলে। সেখানেই এবার কঠিন লড়াইয়ে রূপানি। 


বিজয় রূপানির বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেসের ইন্দ্রনীল রাজগুরু। তিনি বর্তমানে রাজকোট পূর্বের বিধায়ক। গুজরাটে বিধানসভা ভোটে প্রার্থীদের মধ্যে ধনী প্রার্থী তিনিই। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৪১ কোটি টাকা। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পত্তি ৭.৪ কোটি টাকা। রাজগুরু ভোটপ্রচারে দাবি করেছেন, ''আমার টাকা আছে। মানুষকে সহযোগিতা করতে পারি।'' স্থানীয়দের কাছে তিনি 'ধনকুবের' নামেই পরিচিত।


আরও পড়ুন- উন্নয়ন শুধু নগরকেন্দ্রিক, ‘গুজরাট মডেল’-কে কটাক্ষ চাষিদের


১৯৮৫ সাল থেকে ২০১২ পর্যন্ত টানা রাজকোট পশ্চিমে জিতেছেন বাজুভাই ভালা। তিনি এখন কর্ণাটকের রাজ্যপাল। মাঝে ২০০১ সালে মোদীর জন্য আসনটি ছেড়েছিলেন বাজুভাই। পরে মণিনগর থেকে প্রার্থী হন নরেন্দ্র মোদী। ভালা কর্ণাটকে চলে যাওয়ার পর ২০১৪ সালে উপ-নির্বাচনে জয়ী হন রূপানি। 


আরও পড়ুন- হাতছাড়া হতে পারে পুরনো ভোটব্যাঙ্ক, গুজরাটে অ্যাসিড টেস্টের মুখে মোদী


রাজকোট পশ্চিমে ভোটার সংখ্যা ৩.১৫ লক্ষ। তার মধ্যে ৬২,০০০ পটেল সম্প্রদায়ের। এরপর ব্রাহ্মণ, লোহানা ও জৈন সম্প্রদায় রয়েছে। ফলে এখানে নির্ণায়ক ভূমিকা নেবেন পটেলরা। সেটাই চিন্তায় রেখেছে বিজেপিকে। আর সেজন্য ওয়ার রুমে ব্যস্ততা তুঙ্গে।