জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ছটপুজোয় গুজরাটের মোরবির মচ্ছু নদীতে কেবল ব্রিজ ভেঙে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে রয়েছে বহু শিশু ও মহিলা। এখনও অনেকে নিখোঁজ বলে মনে করা হচ্ছে। একটি ঝুলন্ত ব্রিজে কমপক্ষে ৪০০ জন উঠে পড়ে। আর তার ভারেই মাঝ নদীতে ভেঙে পড়ে ব্রিটিশ আমলের ওই সেতুটি। জলের গভীরতা বেশি হওয়ায় ও স্রোত বেশি থাকায় ভেসে যান বহু মানুষ। ওই দুর্ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে গুজরাট সরকার। এনিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা ওই দুর্ঘটনার পেছনে কমপক্ষে দশটি কারণকে বড় করে দেখছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ২ কোটির বদলে ২৮ লাখেই সেতু নির্মাণ! গুজরাট ব্রিজ বিপর্যয়ের বড় তথ্য প্রকাশ্যে


ব্রিজটি টানা ৭ মাস সংস্কারের জন্য বন্ধ থাকার পর ঘটনার তিন দিন আগেই সেটি খুলে দেওয়া হয়। তবে মনে করা হচ্ছে সংস্কারের জন্য যেসব মালমসলা ব্যবহার করা হয় তা ছিল নিম্নমানের। 


ব্রিটিশ আমলে ওই সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল ১৪৩ আগে। এবছর সংরক্ষণের আগে তার কোনও স্ট্রাকচারাল অডিট হয়নি। এমনকি ২ কোটি টাকা খরচ করে ব্রিজ সারানোর পরিবর্তে মাত্র ২৮ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছিল।


ঝুলন্ত ওই সেতুটির যেসব কেবল ছিল সেগুলিতে মরচে ধরে গিয়েছিল। এমনকি যেসব জায়গায় কেবল ছিঁড়ে গিয়েছিল সেইসব জায়গা মেরামত করা হয়নি।


কেবল বদলের পরিবর্তে সেতুর প্লাটফর্ম বদল করা হয়। এমনকি প্লাটফর্ম বদলের জন্য যে মালমসলা ব্যবহার করা হয়েছিল তাতে সেতুটি ভারী হয়ে যায়। 


জানা যাচ্ছে সেতু মেরামতির জন্য যে সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল তারা ঘড়ি ও বাইকের যন্ত্রাংশ তৈরি করে। তাদের দিয়ে কেন সেতু মেরামতি করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তারা সেতুর কেবলে রঙ করে ক্ষত ঢেকে দিয়েছিল।


দুর্ঘটনার দিন ব্রিজে উঠে পড়েছিল ৪০০ জন। কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে তার থেকে বেশি মানুষ উঠেপড়েছিল সেতুটিতে। পুলিস তাদের ঠেকায়নি। ব্রিজটি খোলার সময় বলে দেওয়া হয়নি সেখানে কতজন একসঙ্গে চড়তে পারবেন।


সেতু মেরামতির পর তাতে ফিট সার্টিফিকেট দেয়নি সরকারি কোনও দফতর। উদ্বোধনও করে দেওয়া হয় সংস্কারকারী কোম্পানির এক আধিকারিককে দিয়ে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)