জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ক্লাস ১০-এর পরীক্ষায় নজরকাড়া ফল। শীর্ষস্থানীয়দের মধ্যে একজন ১৬ বছরের তরুণীর। জানা গিয়েছে, বুধবার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা যান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গুজরাত সেকেন্ডারি এডুকেশন বোর্ডের (জিএসইবি) ফলাফল ১১ মে ঘোষণা করা হয়। সেখানে হীর ঘেটিয়া নামে তরুণী দুর্দান্ত রেজাল্ট করে। গুজরাতের মোরবির বাসন্দি তিনি। ক্লাস ১০-এর পরীক্ষায় হীরা ৯৯.০৭ শতাংশ নম্বর পায়।


কিন্তু ভাগ্যের কোপ থেকে আর কে বাঁচে। মস্তিষ্ককে রক্তক্ষরণ এবং যার ফলে এক মাস আগেও রাজকোটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় হীরকে। সেখানে তাঁর অপারেশন করা হয়েছিল। তারপরে তাঁকে সুস্থ করে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রায় এক সপ্তাহ আগে আবার শ্বাসকষ্ট এবং হার্টের সমস্যা শুরু হয়।


আরও পড়ুন:Cyclone Remal: ধেয়ে আসছে 'রিমাল'! কবে আছড়ে পড়বে, কোথায়? আয়লার চেয়েও ভয়ংকর এই ঝড় কতটা বিধ্বংসী?


তৎক্ষণাৎ হীরকে হাসপাতালের আইসিইউিতে ভর্তি করা হয়। তারপর সেখানে এমআরআই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে যে, তাঁর মস্তিষ্কের প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। অবশেষ তাঁর হার্ট কাজ করা একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় এবং সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। 


মেয়ের মৃত্যুর পর বাড়িতে চরম শোকের ছায়া নেমে আসে। কিন্তু মেয়ের মৃত্যুশোককে বুকে চেপেই নজরকাড়া সিদ্ধান্ত নেন তরুণীর বাবা-মা। মৃত মেয়ের চোখ এবং শরীর দান করেন তাঁরা। হীরের বাবা বলেন, 'হীর একজন ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন। আমরা তাঁর শরীর দান করেছি যাতে সে ডাক্তার না হতে পারলেও সে অন্য জীবন বাঁচাতে সাহায্য় করতে পারে।' 


অন্যদিকে, মেয়েকে হারিয়েছেন ৩০ বছর আগে। আজ থেকে ৩০ বছর আগে চিরঘুমে চলে গেছে মেয়ে। সেই মেয়েরই বিয়ে দিতে চান বাবা-মা। আর সেইজন্য পাত্র খুঁজছেন তাঁরা। যেমন তেমন পাত্র হলে চলবে না। মৃত মেয়ের জন্য চাই ৩০ বছর আগেই প্রয়াত প্রেতাত্মা পাত্র! তাজ্জব করা ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকে।  


আরও পড়ুন:ED: আদালতে মামলা চললে অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইনে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবে না ইডি


দক্ষিণ কর্নাটক পুত্তুরের বাসিন্দা ওই পরিবারের এখন লক্ষ্য ৩০ বছর আগে তাঁদের প্রয়াত মেয়ের জন্য বিয়ের আয়োজন করা। কিন্তু মৃত মেয়ের বিয়ে দিতে গেলে তো প্রয়োজন কোনও 'মৃত' বরের। সেজন্য রীতিমতো বিজ্ঞাপনও দিয়েছেন তাঁরা। যদিও মৃত মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য সঠিক প্রেতাত্মার সন্ধান পাননি তাঁরা। তবে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।


জানা গিয়েছে, খুব শিশু অবস্থায় তাঁদের মেয়ে মারা যায়। যে ঘটনা নিঃসন্দেহে ওই বাবা-মা ও পরিবারের কাছে একটি বড় ধাক্কা এবং মানসিক আঘাত ছিল। পরবর্তীতে ওই পরিবারটি নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে যায়। যে কারণে তাঁদের মনে হয় যে, তাঁদের মেয়ের অবিবাহিত অবস্থা-ই তাঁদের ক্রমাগত দুর্দশা ও দুর্ভাগ্যের মূল কারণ। 


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)