নিজস্ব প্রতিবেদন: গুজরাটে ভোটের আগে মেরুকরণের অস্ত্রেই রাহুল গান্ধীকে নিশানা করা শুরু করল বিজেপি। গুজরাটের ভোটপ্রচারে মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে 'নরম হিন্দুত্বে'র কৌশল নিয়েছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি, এমনটাই খবর কংগ্রেসের অন্দরে। তার পাল্টা রাহুলকে 'ঔরঙ্গজেব' বলে অভিহিত করে সুর বেঁধে দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার সেই পথেই রাহুলকে বিঁধলেন অমিত শাহ ও দলের মুখপাত্র জেভিএল নরসিমা রাও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জেভিএল নরসিমা রাও টুইটারে লিখেছেন, ''অযোধ্যায় রাম মন্দিরের বিরোধিতায় গিলানি, ওয়াইসিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তিনি নিশ্চিতভাবেই 'বাবরভক্ত' ও 'খিলজির বংশধর'। রাম মন্দির ভেঙেছিলেন বাবর। সোমনাথ মন্দির তছনছ করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন খিলজি। দুই ইসলামিক আক্রমণকারীরই সমর্থক নেহরুর বংশ। নেহরুর বংশধররা ওদের অনুকরণ করেছে।'' 


আরও পড়ুন- 'স্বচ্ছ ভারত'-এর প্রচারই সার! মোদীর রাজ্যেই দূষিত নদী



মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলের সওয়াল নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। আদালতে তিনি জানান, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট পর্যন্ত বাবরি মামলায় রায়দান স্থগিত রাখা হোক। না হলে বিজেপি নির্বাচনে বিষয়টি কাজে লাগিয়ে ফায়দা তুলতে পারে। তবে সিব্বলের আবেদনে সাড়া দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। এনিয়েই রাহুলকে বিঁধেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর খোঁচা, ''একদিকে মন্দিরে মন্দিরে ঘোরা হচ্ছে, আর অন্যদিকে রাম জন্মভূমি মামলা পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এনিয়ে দ্বিচারিতা করছে কংগ্রেস।'' কপিলের এই অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। কংগ্রেসের ব্যাখ্যা, ওয়াকফ বোর্ডের হয়ে মামলা লড়ছেন সিব্বল। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। 


গুজরাট নির্বাচনের আগে হার্দিক ও অল্পেশ ঠাকোরের সমর্থন জোগাড় করে মোক্ষম চাল দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। একইসঙ্গে মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে, নিজেকে শিবভক্ত বলে প্রচারও করছেন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, গুদরাটে নরম হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করছেন সহ-সভাপতি। রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেসের জাতপাতের অঙ্ক ও নরম হিন্দুত্বের মোকাবিলায় চড়া সুরের হিন্দুত্বকেই হাতিয়ার করেছে বিজেপি। সেজন্যই রাম মন্দির নিয়ে আসরে নেমে পড়েছেন দলের নেতারা। অনেকেই বলছেন, শিবভক্তকে সামলাতে 'ডিজিটাল ভারতে'ও রাম ভক্তিই ভরসা অমিত শাহদের।