নিজস্ব প্রতিবেদন: একপক্ষের সম্মান রক্ষার লড়াই, অন্যপক্ষের কাছে লড়াইয়ে টিকে থাকার সম্ভবত শেষ সুযোগ! গুজরাটের দিকে চোখ গোটা দেশের। নরেন্দ্র মোদী কি পারবেন ২২ বছরের গড় ধরে রাখতে? নাকি খেলা ঘুরিয়ে দেবেন রাহুল-অল্পেশ-হার্দিক ত্রয়ী? কংগ্রেসের 'জাতপাতের অঙ্কে'র মোকাবিলায় তৃণমূলস্তরের সংগঠনে ভরসা রাখছে বিজেপি। সোশ্যাল মিডিয়াই তাদের সবচেয়ে 'বড় সংগঠন'।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গুজরাটে নরেন্দ্র মোদীকে ধাক্কা দিতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন রাহুল গান্ধী। পতিদার নেতা হার্দিক পটেল ও দলিত নেতা অল্পেশ ঠাকুরের সমর্থন জোগাড় করে নিয়েছেন তিনি। 'নরম হিন্দুত্বে'র কৌশল নিয়ে গেরুয়া শিবিরের প্রতি পাল্টা লড়াই ছুড়ে দিতেও সক্ষম হয়েছেন রাহুল গান্ধী, এমনটাই বলছে পর্যবেক্ষকদের একাংশ। বিজেপি সূত্রের খবর, জাতপাতের অঙ্ক তো রয়েইছে, তার সঙ্গে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়ায় জোরদার। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি এখন গোলমেলে। 


আরও পড়ুন- নোট বাতিলে লাভবান হয়েছে চিন, দাবি মনমোহন সিংয়ের


২০১৪ সালে ফেসবুক, টুইটারে প্রচারে ঝড় তুলেছিল বিজেপি। তাদের আলাদা করে আইটি সেলও রয়েছে। সেই বিদ্যে শিখে নিয়েছে কংগ্রেসও। তবে এবার বিজেপি কৌশল বদলে নজর দিয়েছে হোয়াটস অ্যাপে। শুধুমাত্র সুরাটেই তাদের ৩২০০টি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। প্রতিটি গ্রুপকে নিয়ন্ত্রণ করেন বিজেপি নেতারা। দক্ষিণ গুজরাটের দায়িত্ব থাকা বিজেপি নেতা পিভিএস শর্মার কথায়, ১ মিনিটের মধ্যে আমরা ৬ লক্ষ লোকের কাছে পৌঁছে যেতে পারি। 


আরও পড়ুন- সমু্দ্র বাণিজ্য গোষ্ঠীর নির্বাচনে বড় জয় ভারতের


বিজেপির আইটি সেল সূত্রে খবর, হোয়াটস অ্যাপে তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ফেসবুক বা টুইটারের চেয়ে বেশি। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে এমন গ্রুপ তৈরি করেছে বিজেপি। দলের প্রাথমিক সদস্যদের 'ঠিকুজিকুষ্টি' রয়েছে তাদের কাছে। ওই সদস্যদেরই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে সামিল করা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ রাখে কলসেন্টার। হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে কেউ বেরিয়ে গেলেও নজর রাখে তারা। এর পাশাপাশি প্রতিটি এলাকায় ৪০-৪৫ জন ভোটারের দায়িত্বে রয়েছেন পান্না প্রমুখ।   


আরও পড়ুন- সত্যিই! আধার করাতে ভারতে এসেছিলেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প?


গ্রামীণ এলাকায় আবার ভিন্ন কৌশল গেরুয়া শিবিরের। বিজেপির জেলা অফিস থেকে একসঙ্গে বহু মানুষকে ফোন করা হয়। একটা কলে ১৪০০ জনের কাছে বার্তা পাঠানো সম্ভব। এর সঙ্গে রয়েছে ভিডিও কনফারেন্সিং। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ভোটের দিন দলের কর্মীরা ভোট দিলেই গুজরাট বিজয় নিশ্চিত। তৃণমূলস্তরের প্রচারে নেমেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। ব্যক্তিগতভাবে এক ব্যবসায়ীকে ফোন করছেন তিনি। শনিবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি গুজরাটি মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন মোদী। তৃণমূলস্তরের সংগঠনে আবার জোর দিয়েছেন অমিত শাহ। উত্তর প্রদেশে লোকসভা ও বিধানসভাতেও এই ফর্মূলায় গেরুয়া ঝড় তুলেছিলেন তিনি। এবার নিজের রাজ্যে তাঁর টার্গেট '১৫০'।  অমিত হুঙ্কারে তিনি ঘোষণা করেছেন, ''উত্তর প্রদেশে কিছুই হয়নি। গুজরাটে দেখিয়ে দেব।'' বিজেপির ভোট মেশিনারি বনাম কংগ্রেসের জাতপাতের অঙ্ক- কে শেষপর্যন্ত বাজিমাত করবে? উত্তর দেবে ইভিএম।